কারেসমার গোলেই পর্তুগালের স্বস্তি
১১৫ মিনিটে বলার মতো কোনো আক্রমণ নেই, গোলে কোনো শট নেই, কারও জেতার চেষ্টাই নেই। হঠাৎ করেই যেন জেগে উঠল ক্রোয়েশিয়া, ইভান পেরিসিচের হেড গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দিলেন পর্তুগাল গোলরক্ষক রুই প্যাট্রিসিও। প্রতিআক্রমণ থেকে বল পেলেন রেনাটো সানচেজ, পাস দিলেন নানিকে। নানির থ্রু (নাকি শট) থেকে বল পেয়ে গেলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ডান পায়ের জোরালো শট ঠেকিয়েও দিলেন ক্রোয়েশিয়া গোলরক্ষক। কিন্তু ফিরতি বলটা জালে জড়িয়ে দিলেন ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা রিকার্ডো কারেসমা। পর্তুগাল পেয়ে গেল ১-০ গোলের জয়, উঠে গেল ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ পোল্যান্ড।
জয়ের পর ক্রোয়েশিয়া ডিফেন্ডার ভিদাকে আলাদা করে একটা ধন্যবাদ জানাতে পারেন রোনালদোরা। ম্যাড়ম্যাড়ে একটা ম্যাচে বলার মতো তিনটি সুযোগ পেয়েছিলেন সোনালী চুলের ডিফেন্ডার। দুই বার ফাঁকা পেয়েও হেড পোস্টে রাখতে পারেননি, ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে বাঁ পায়ের শট চলে গেছে বার ঘেঁষে। ক্রোয়েশিয়া গ্রুপ পর্বে দারুণ খেলেও তাই বাদ পড়ে গেছে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই।
দুই কোচই রক্ষণাত্মক কৌশলই বেছে নিয়েছিলেন। পর্তুগাল মুতিনহোকে বসিয়ে নামিয়েছে আদ্রিয়েন সিলভাকে। আন্দ্রে গোমেজ ছিলেন বিবর্ণ, দুই মিডফিল্ডার কারভালহো ও সিলভা আক্রমণের চেয়ে মনযোগ দিয়েছেন রক্ষণেই। রোনালদো সেভাবে বলই পাননি, পুরো ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বক্সে শট দূরে থাক, বলই তিনি ধরতে পেরেছেন মাত্র একবার। ক্রোয়েশিয়াও আগে 'ঘর সামলাও' নীতিতে এগিয়েছে, মানজুকিচ- পেরিসিচরা সেরকম কোনো সুযোগই পাননি। নির্ধারিত সময় তাই গোলশূন্যই থেকেছে।
শেষ পর্যন্ত কারেসমার গোলেই কপাল পুড়েছে ক্রোয়েশিয়ার। ২০১১ সালে কোনো ম্যাচ না জিতেই কোপার ফাইনালে চলে গিয়েছিল প্যারাগুয়ে। পর্তুগালও এখন পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে কোনো ম্যাচ না জিতে চলে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। প্যারাগুয়ের পথেই কি তারা হাঁটছে?