• ইউরো
  • " />

     

    'সেরা দলটাই অসময়ে বাড়ি ফিরছে'

    'সেরা দলটাই অসময়ে বাড়ি ফিরছে'    

    গ্রুপ পর্বে দাপটের সাথে খেলেই নিশ্চিত হয়েছিল দ্বিতীয় পর্ব। দারিও সরনারা অন্তত দুয়েকটা নক-আউট পার হতে পারবেন, এমন প্রত্যাশা ছিল অনেকেরই। কিন্তু  প্রথমটিতেই পর্তুগালের কাছে ১১৭ মিনিটের গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচ শেষে লুকা মড্রিচরা মাঠেই ভেঙে পড়েছেন কান্নায়। এতো তাড়াতাড়ি বাড়ির বিমান ধরতে হবে, মানতে পারছেন না ইভান রকিটিচও। রিয়াল-বার্সার এই দুই তারকাই একমত, এবারের ইউরোর অন্যতম সেরা দলটি বাড়ি ফিরে যাচ্ছে একটু তাড়াতাড়িই।

     

     

    নির্ধারিত নব্বই মিনিটের খেলা গোলশূন্য ড্র থাকায় অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় পর্তুগাল-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচটি। তাতে ১১৭ মিনিটের মাথায় রিকার্ডো কারেসমার গোলে ব্যবধান গড়ে নেয় পর্তুগাল। হতাশায় ডোবে ক্রোয়েটরা। ব্যাপারটা যেন মেনেই নিতে পারছেন না রকিটিচ, “তাঁরা (পর্তুগাল) আসলে নিজেরাও জানে না গোলটা কিভাবে দিয়ে ফেলেছে...তাঁদেরকে জিগ্যেস করেই দেখুন না!”

     

    ফুটবল খেলাটাই এখন ‘প্রহসন’ বলে মনে হচ্ছে বার্সা মিডফিল্ডারের, “লোকে বলে ফুটবল হচ্ছে পৃথিবীর সেরা খেলা। কিন্তু মাঝেমধ্যে মনে হয় এটা পৃথিবীর সবচেয়ে অথর্ব খেলা। যেমনটা আজকে মনে হয়েছে, কারণ একটা টুর্নামেন্টের সেরা দল (আসরের মাঝপথে) বিদায় নেবে এটা অসম্ভব।...আমি জানি না কেন সবকিছু কেবল আমাদের বিপক্ষে যায়। এটা কখনও ন্যয় বিচার হতে পারে না।”

     

    রকিটিচের মতো একই হতাশায় পুড়ছেন লুকা মড্রিচও, “এই ব্যাপারে আমরা সবাই একমত যে সেরা একটা দলকে চলে যেতে হচ্ছে। আমরা পুরো টুর্নামেন্ট ভালো খেলেছি, এভাবে বিদায় নেওয়াটা আমাদের মানায় না। পুরো ম্যাচে আমরা আধিপত্য বজায় রেখেছি, বল নিয়ন্ত্রণে রেখেছি, একের পর এক সুযোগ তৈরি করেছি আর ফাঁকতালে ওঁরা কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল দিয়ে দিয়েছে।”