জার্মানি খেলল বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মতোই
আইরিশদের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেললেও জয়টা ন্যূনতম ব্যবধানে হওয়ায় জার্মান সমর্থকদের মন ভরাতে পারেনি নয়্যার, ক্রুস, মুলাররা। কিন্তু আজ স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে তারা সমগ্র বিশ্বকে জানান দিল তাদের শক্তির কথা। স্লোভাকদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করা জার্মানদের জয়টা তিন গোলের ব্যবধানে।
প্রথমার্ধের মাত্র আট মিনিটেই টনি ক্রুসের ফ্রিকিকে মাথা ছুঁইয়ে গোলটা প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন খেদিরা। কিন্তু স্লোভাক কিপার কোযাচিকের দুর্দান্ত সেভে স্কোরলাইন সমতায় থাকে। কিন্তু সেই কর্ণার থেকে বক্সের বাইরে থেকে চমৎকার এক ভলিতে বল জালে জড়ান জেরোম বোয়াটেং। এরপর স্লোভাকদের টুঁটি চেপে ধরা জার্মানরা ১৪ মিনিটে পেয়ে যায় পেনাল্টি। ডি বক্সে কিমিচের ক্রস গোমেজের মাথা লাগানোর আগেই তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন মার্টিন স্কারটেল। কিন্তু ওজিলের দূর্বল পেনাল্টি বাঁচিয়ে ব্যবধানটা এক গোলেরই রাখেন কোযাচিক। এরপরের মিনিট বিশেক খেলাটা জার্মানী বনাম কোযাচিকই হচ্ছিল। কিন্তু খেলার ধারার বিপরীত স্রোতে ৩৮ মিনিটে কুচকার হেড মারাত্মকভাবে বাঁচিয়ে জার্মান রক্ষণ অক্ষত রাখেন ম্যানুয়েল নয়্যার। জার্মানীর বিপক্ষে চান্স কম পাওয়া যাবে জেনেও এত সহজ সুযোগ মিস করার মাশুল দিতে হয় আর ৫ মিনিট পরেই। ড্র্যাক্সলারের চমৎকার উইংপ্লেয়ের পর গোমেজের পোচার ফিনিশে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন প্রায় হারিয়ে যাওয়া এই স্ট্রাইকার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে অন্য এক স্লোভাকিয়ার দেখা মেলে। কিন্তু আবারো সুযোগ হাতছাড়া করার ফলে ৬৩ মিনিটে আবারো গোল খেয়ে বসে তারা। কর্ণার থেকে ফার পোস্টে ফাঁকা থাকা ড্র্যাক্সলারের ভলিতে ব্যবধানটা বেড়ে দাঁড়ায় তিন গোলে। এরপর অতিরিক্ত সম্যের খেলায় মুলারের পাস থেকে ক্রুস সহজ সুযোগ মিস করলে ৩-০ ব্যবধান নিয়েই খুশি থাকতে হয় লো শিষ্যদের। এই ম্যাচেও জোয়াকিম লোয়ের ‘বিখ্যাত’ চুলকানির নমুনা দেখেছে ফুটবলবিশ্ব।
এই জয়ে আগামীকালের(আজকের) ইতালি-স্পেন ম্যাচের জয়ী দলের মুখোমুখি হবে তারা। প্রতিপক্ষ যেন স্পেনই হয়, সে দোয়াই করবেন জার্মানরা। ইতালিকে যে কোনো টুর্নামেন্টের মূলপর্বে এখনো হারাতে পারেননি নয়্যাররা!