• ইউরো
  • " />

     

    হ্যাজার্ড-ডি ব্রুইনা জাদুতে কোয়ার্টারে বেলজিয়াম

    হ্যাজার্ড-ডি ব্রুইনা জাদুতে কোয়ার্টারে বেলজিয়াম    

    নিজেদের জাত চেনাল বেলজিয়াম! হাঙ্গেরিকে ৪-০ গোল উড়িয়ে দিয়ে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল হ্যাজার্ড-ডি ব্রুইনা-লুকাকুদের দল। কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের খেলবে ওয়েলসের বিপক্ষে।

    ম্যাচের আগে মার্ক উইলমটস বলেছিলেন, “হাঙ্গেরীর চেয়ে বরং জার্মানি ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হলেই বোধ হয় বেশি খুশি হতেন তিনি!”। হাঙ্গেরির হার না মানা মনোভাবেই ভয় ছিল বেলজিয়ান কোচের। প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেও বোধ হয় ভয়টা কাজ করছিল উইমর্টের মনে!

    ৭৮ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে হ্যাজার্ডের ক্রসে গোল করে দলকে দুই গোলের লিড এনে দেন কিছুক্ষণ আগে লুকাকুর বদলী খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামা বাতশুয়াই। পুরো ম্যাচ জুড়েই দুই উইং দিয়ে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে গেছেন হ্যাজার্ড- ডি ব্রুইনারা। বেলজিয়ামের আধিপত্য বিস্তার করে খেলার দিনে কোর্তোয়াকে খুব বেশি বিপাকেও পড়তে হয়নি হাঙ্গেরির আক্রমণ সামলাতে।

     

    ডি ব্রুইনা না পেলেও, হ্যাজার্ড ঠিকই পেলেন গোলের দেখা। ৮০ মিনিটে দ্রুত গতির এক কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল পেয়ে যান হ্যাজার্ড। বাম পাশ দিয়ে ডি বক্সের ভেতরে ঢুকে, দুইজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দলের তৃতীয় গোলটি করে হাঙ্গেরীর বিপক্ষের ম্যাচটা স্মরণীয়ই করে রাখলেন হ্যাজার্ড। ম্যাচের শেষ গোলটিও আসে কারাস্কোর পা থেকে। এর আগে ম্যাচের প্রথম দশ মিনিটেই ডি ব্রুইনার ফ্রি-কিক থেকে হেড করে বেলজিয়ামকে লিড এনে দেন আল্ডেরুইরেল্ড। 


    হাঙ্গেরির ৪০ বছর বয়সী গোলকিপার গাবর কিরাই বাধা হয়ে না দাঁড়ালে আরও বড় ব্যবধানেই জিততে পারত বেলজিয়াম। হ্যাজার্ড- ডি ব্রুইনাদের বেশ কয়েকটি কিক সেভ করে হাঙ্গেরির বড় ধরনের লজ্জার হাত থেকেই বাঁচিয়েছেন এই গোলকিপার।