'স্পেনকে সবচেয়ে বেশী ভোগাতে পেরেছি আমরাই'
ইউরোর বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে সর্বশেষ জয়টা আজ থেকে ৫ বছর আগের। বহুজাতিক কোনো টুর্নামেন্ট বিচারে অবশ্য সেটা ২২ বছরের পুরনো, ‘৯৪ সালের বিশ্বকাপে। সর্বশেষ ইউরোর ফাইনালে স্প্যানিশরা দিয়েছিল ৪-০ গোলের লজ্জা। সেই স্পেনকে যখন এ যাত্রায় দ্বিতীয় পর্বেই মোকাবেলা করতে হচ্ছে, আজ্জুরিদের সেনাপতি জিয়ানলুইজি বুফন বলছেন পরিসংখ্যান ঘেঁটে পরিশ্রান্ত হওয়ার পাত্র তিনি নন। বরং, নিকট অতীতে স্পেনের মতো শক্তিশালী দলকে সবচেয়ে বেশী প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে কেবল ইতালিই ফেলতে পেরেছে- আজকের দ্বৈরথের আগে এমন দাবীতেই প্রেরণা খুঁজছেন ৩৮ বছর বয়সী গোলরক্ষক।
গত আসরের ফাইনালে অমন হারের ব্যাখ্যাও দিচ্ছেন বুফন, “স্পেনের কাছে সর্বশেষ চারটা হারের মধ্যে কেবল ২০১২ সালের ওটাই বড় ব্যবধানের ছিল। আসলে শেষভাগে গিয়ে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম, আর সেটাই ওঁদেরকে সাহায্য করেছল আমাদের উপর চেপে বসতে। তবে (নিকট অতীতের) অন্য সব দ্বৈরথেই আমরা তাঁদের সাথে সমানে সমানে লড়েছি, যারা কিনা ওই সময়টায় বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দলই ছিল। আমরা একমাত্র দল যারা অব্যাহতভাবে তাঁদের ঘাম ঝড়িয়ে গেছি।”
নক-আউট পর্বের ম্যাচ, হারলেই ধরতে হবে বাড়ির বিমান...ইতালির অধিনায়ক কি স্নায়ুচাপে ভুগছেন না? বুফনের দাবী বয়স তাঁকে পরিণত করে ফেলেছে অনেকটাই, “এমনও হয়েছে, কোনো কোনো ম্যাচের পর আমার জ্বর এসে গেছে। আসলে যে আবেগ নিয়ে প্রতিটা খেলার জন্য মাঠে নামি, জ্বর আসাটা স্বাভাবিকই। তবে এখন পরিপক্কতা অনেক বেড়েছে। এই বয়সে এসে এখন প্রতিটা ম্যাচকে জীবনের সবচেয়ে সুন্দর আর গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে উপভোগের চেষ্টাই করি।”
আর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে উপভোগ্য সময়টা অন্তত আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত কাটাতে চান ‘সুপারম্যান’, “এই পর্যায়ে আসলে পারফরম্যান্সই নির্ধারণ করে দেয় যে একজন খেলোয়াড় খেলা চালিয়ে যাবে নাকি জাতীয় দলের জার্সি তুলে রাখবে। আমার কথা বললে, আরও দুটো বছর সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলে যেতে চাই।”