• ইউরো
  • " />

     

    ইংলিশদের বিদায়ঘণ্টা বাজাল আইসল্যান্ড

    ইংলিশদের বিদায়ঘণ্টা বাজাল আইসল্যান্ড    

    ৩ লাখ ৩০ হাজার লোকের একটা দেশ। ধারেভারে তাদের সঙ্গে ফুটবলের আঁতুড়ঘর ইংল্যান্ডের কোন তুলনাই হয় না। কিন্তু যে ইংলিশ খেলোয়াড়দের আদর্শ মেনে ফুটবলকে জীবনের ধ্রুবতারা করেছে আইসল্যান্ডের ফুটবলাররা, তারাই ২-১ গোলে হারিয়ে দিল ইংল্যান্ডকে। প্রথমবার খেলতে এসেই ইউরোতে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেলে ছোট্ট দ্বীপদেশটি। 


    অথচ ম্যাচের শুরুটা ইংল্যান্ডকেই আশা দেখাচ্ছিল। ৪ মিনিটের সময়ই রাহিম স্টার্লিংকে বক্সের ভেতর ফেলে দিয়েছিলেন আইসল্যান্ড গোলরক্ষক। পেনাল্টি থেকে গোল ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দিয়েছেন ওয়েইন রুনি। তখন মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ড হয়তো হেসেখেলেই পরের পর্বে উঠবে। 


    কিন্তু  দুই মিনিট পরেই আইসল্যান্ডকে সমতা ফেরান রাগনার সিগুর্ডসন। পেনাল্টি বক্সে ভেসে আসা বলটা ক্লিয়ার করতে পারেননি কোনো ইংলিশ ডিফেন্ডার। ছুটে এসে বলটা জালে জড়িয়ে দিয়েছেন সিগুর্ডসন। এবার প্রথম ইউরোতে প্রথম ছয় মিনিটের ভেতর দুই গোল হলো। 


    ১৯ মিনিটে সবাইকে স্তম্ভিত করে এগিয়ে দিয়েছেন কোলবেইন সিগর্থসন। সেটার জন্য অবশ্য ইংলিশ গোলরক্ষক জো হার্টকে আলাদা করে একটা ধন্যবাদ দেবেন। দারুণ কিছু পাসের পর পেনাল্টি বক্সের মাথায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন সিগর্থসন। শটে হার্ট হাতও লাগিয়েছিলেন, কিন্তু বল জালে ঢোকা থেকে ঠেকাতে পারেননি। গ্রুপ পর্বেও ওয়েলসের সঙ্গে ম্যাচে ভুল করেছিলেন। কিন্তু সেটার জন্য বড় মাশুল দিতে হয়নি। কিন্তু কে জানত, আজ হার্টের ভুলটাই ডোবাবে ইংল্যান্ডকে! বড় আসরে আবারও ইংলিশ গোলরক্ষকদের ভুলের ধারাবাহিকতা বজায় থাকল। ও হ্যাঁ, আইসল্যান্ডের দুইটি গোলের উৎসই অ্যারন গুনারসনের লম্বা থ্রো। এই ম্যাচের আগে যেটিকে ইংল্যান্ডের জন্য হুমকি মনে করা হচ্ছিল, সেটিই কাল হলো। 


    কিন্তু ম্যাচের তখনও অনেকটা বাকি। প্রথমার্ধে চেষ্টা করেও সমতা ফেরাতে পারেনি ইংল্যান্ড। রয় হজসনের প্রথম একাদশ নিয়ে সমালোচনা তখন তুঙ্গে। ৪৬ মিনিটে এরিক ডায়ারকে তুলে নিয়ে রয় হজসন নামান আনফিট জ্যাক উইলশেয়ারকে। ইংল্যান্ড যেন আরও খোলসের মধ্যে ঢুকে গেল। ৬০ মিনিটে স্টার্লিংয়ের জায়গায় মাঠে নামলেন জেমি ভার্ডি। কিন্তু আইসল্যান্ডের সুশৃঙ্খল রক্ষণ আর ইংল্যান্ড ভাঙতে পারছিল না। উল্টো দারুণ কিছু প্রতিআক্রমণ থেকে আইসল্যান্ডই এগিয়ে যেতে পারত। কিন্তু হার্ট দুইবার রক্ষা করেছেন তাদের। সেটি অবশ্য ইংল্যান্ডের পরাজয় ঠেকাতে পারেনি।


    ইউরোতে নকআউট পর্বে কোনো জয় এখন পর্যন্ত অধরাই হয়ে রইল ইংল্যান্ডের কাছে, বেজে গেল হজসনের বিদায়ঘণ্টাও। ম্যাচ শেষেই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন হজসন।