ইউরো জিতলে সাঁতরে আইসল্যান্ড পার!
টুর্নামেন্ট শুরুর আগেও পুঁচকে দেশটাকে কে-ই বা গোনায় ধরেছিল! ৩ লাখ ৩০ হাজার জনসংখ্যার সেই আইসল্যান্ডই গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে ইংল্যান্ডের মতো ‘পরাশক্তি’কে বিদেয় করে চলতি ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে! রূপকথার স্বপ্নযাত্রায় আরও একধাপ এগোতে হলে অবশ্য এ যাত্রায় টপকাতে হবে স্বাগতিক ফ্রান্সের বাধা। আর সেটা ‘আদতে সম্ভব নয়’- এমনটা ভেবেই কিনা, অলিম্পিকের স্বর্ণজয়ী ফরাসী সাঁতারু ইয়ানিক অ্যাগনেল করে বসেছেন এক কঠিন পণ। বলছেন, আইসল্যান্ড এবারের ইউরো জিতে গেলে গোটা দেশটাই তিনি চক্কর দেবেন সাঁতরে! অ্যাগনেলের ‘টিপ্পনি’র জবাবও দিচ্ছেন আইসল্যান্ডের সহকারী কোচ হেইমির হালগ্রিমসন। ভদ্রলোকের ‘বেরসিক’ পরামর্শ, ভালো দিনক্ষণ দেখে যেন সাঁতারের বন্দোবস্ত করেন অ্যাগনেল।
ইউরো শুরুর আগে বাজির দরে আইসল্যান্ডের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা ছিল ১০০-১, দ্বিতীয় পর্বের খেলা শেষে সে দরই এখন দাঁড়িয়েছে ৩৩-১। তবে বাজিকররা পর্যন্ত বিশ্বাস করতে শুরু করলেও অ্যাগনেল বোধকরি সেটা একেবারের ‘অসম্ভব’ জ্ঞান করে বসেছেন, “যদি আইসল্যান্ডাররা ইউরো জিতেই যায়, পুরো আইসল্যান্ড আমি সাঁতরে ঘুরবো।”
অ্যাগনেল ব্যাপারটা যতোই রসিকতার ছলে বলে থাকুন, অনেকেই যে ব্যাপারটা ‘গুরুত্বের’ সাথে নিয়েছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। একজন বেশ উৎসাহ নিয়ে লিখেছেন, অ্যাগনেলের সাঁতারের শেষ সীমায় তিনি ‘গরম গরম চকলেট কফি’ নিয়ে অপেক্ষা করবেন।
ব্যাপারটা আসলে সম্ভব কিনা, এমন ভাবনায় ‘উদ্বিগ্ন’ আরেকজন তুলে দিয়েছেন মোট ২ হাজার ৮ কিলো দূরত্বের গোটা আইসল্যান্ড ম্যাপটাই, “ঘন্টায় ৩ কিলো করে সাঁতরালেও ২৮ দিন লাগবে। আমাকে পাগল মনে হলে দুঃখিত!”
অ্যাগনেলের ‘প্রতিশ্রুতি’ নিয়ে ‘সরস’ আলোচনা হয়েছে আইসল্যান্ড দলের সংবাদ সম্মেলনেও। দলটির সহকারী কোচ হালগ্রিমসন অবশ্য ‘সিরিয়াস’ পরামর্শই দিয়েছেন, “আমি তাঁকে উৎসাহিত করবো না, তবে এটা সম্ভব। আর তাঁকে ভালো আবহাওয়া দেখে শুরু করতে হবে…”
সত্যি সত্যিই প্রতিশ্রুতি রক্ষার মতো পরিস্থিতির উদ্ভব হলে অ্যাগনেলের সেটা ঝটপট সেরে ফেলাই ভালো। বছরের এই সময়টাতেই আইসল্যান্ডের তাপমাত্রা একটু ‘বেশী’, ১০-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। বাকি সময় তো সেটা নেমে আসে শুন্যের কোঠায়!