কোনো ম্যাচ না জিতেই সেমিফাইনালে পর্তুগাল!
গ্রুপ পর্বে কোনো ম্যাচ না জিতেই পর্তুগাল গ্রুপে তৃতীয় হয়েও উঠে গিয়েছিল দ্বিতীয় রাউন্ডে। সেখানেও নির্ধারিত সময়ে জিততে পারেনি। আজ ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও জয় পেল না পর্তুগাল। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারেই শিকে ছিঁড়ল পর্তুগালের ভাগ্য, পোল্যান্ডকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে চলে গেছে পর্তুগাল। আর কোনো ম্যাচ না হেরেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হলো পোল্যান্ডকে।
তবে ম্যাচটা হেরে গেলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো নিজেকে বোধ হয় ক্ষমা করতে পারতেন না। অস্ট্রিয়ার সঙ্গে ম্যাচের মতো না হলেও এই ম্যাচেও গোলের বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিলেন। অন্তত রোনালদোর সেসব মিস করাটা অমার্জনীয় অপরাধই। মুতিনহোর চিপ থেকে একটুর জন্য বলে পা লাগাতে পারেননি, মিস কিক করেছেন, বলে পা লাগাতে পারেননি আরও একাধিকবার। নইলে নির্ধারিত সময়েই জিতে যেতে পারত পর্তুগাল।
ড্র করার জন্য অবশ্য রেনাটো সানচেসকে ধন্যবাদ দিতেই পারেন রোনালদো। ম্যাচের ২ মিনিটের মধ্যেই রবার্ট লেভানডফস্কির গোলে এগিয়ে যায় পোল্যান্ড। পর্তুগাল এরপর সমতা ফেরানোর চেষ্টা করতে থাকে। ৩৩ মিনিটে সানচেসের বাঁ পায়ের শট পোল্যান্ডের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে দিকবদল করে ঢুকে যায় জালে। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই দেশের হয়ে প্রথম গোল পেয়ে গেলেন সানচেস, ইউরোর নকআউট পর্বে এর চেয়ে কম বয়সে কেউ গোল করতে পারেনি।
এরপর নির্ধারিত সময়ে দুই দলই সুযোগ পেয়েছিল। সেটা অবশ্য পর্তুগালই বেশি পেয়েছিল, কিন্তু রোনালদোরা কাজে লাগাতে পারেননি। টাইব্রেকারে প্রথম কিকেই রোনালদো গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। শেষ পর্যন্ত চতুর্থ কিকে এসে প্রথম মিস করেন জ্যাকব বোয়াশচিকফস্কি। আগের ম্যাচে যেমন জয় দিয়েছিলেন, আজও সেই রিকার্ডো কারেসমাই শেষ পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এনে দেন জয়ের উপলক্ষ।