দেল-বস্কের সঙ্গে লেগে গিয়েছিল ক্যাসিয়াসের!
আট বছর ছিলেন স্পেন জাতীয় দলের দায়িত্বে। স্প্যানিশদের ফুটবল ইতিহাসে প্রথম বিশ্বকাপটা এনে দেয়ার পর ধরে রেখেছিলেন ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বও। ভিসেন্তে দেল-বস্কের কোচিং ক্যারিয়ারের সোনালি সময়টুকুর প্রায় পুরোটাতেই বিশ্বস্ত সারথি ছিলেন ইকার ক্যাসিয়াস। অথচ একই সময়ে যখন দু’ জনে বিদায় বলছেন স্পেন জাতীয় দলকে, একজন আরেকজনকে সেটা আলাদা করে জানানোরও প্রয়োজন বোধ করছেন না! দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়ার ব্যাপারে দলের আর সব সদস্যকেই আলাদা করে বার্তা পাঠালেও ক্যাসিয়াসকে কিছুই জানান নি দেল-বস্ক।
অনেকটা অনুমিতভাবেই এবারের ইউরোতে লা রোজাদের প্রথম একাদশে জায়গা হয় নি ক্যাসিয়াসের। ২০০০ সালের পর কোনো বহুজাতিক টুর্নামেন্টে এ ঘটনা এবারই প্রথম। ক্যাসিয়াসের আঠারো বছরের দখলে থাকা গোলপোস্ট এবার সামলেছেন ডেভিড ডি গিয়া। আর এ নিয়েই তাঁর সাথে ক্যাসিয়াসের সম্পর্কের টানাপোড়েন বলে জানাছেন দেল-বস্ক নিজেই, “দলের আর সব সদস্যের সাথে সে বেশ হাসিখুশি। কিন্তু আমিসহ কোচিং স্টাফদের সাথে তাঁর সম্পর্কটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল কোনোরকম কাজ চালানোর মতো।”
আর এ কারণেই ক্যাসিয়াসকে আলাদা করে ‘মেসেজ’ পাঠান নি কোচ। তবে ক্যাসিয়াসের প্রতি তাঁর কোনো রাগ নেই বলেই জানাচ্ছেন, “ও আমাকে কখনও হতাশ করে নি। তাঁর জন্য আমার ভালোলাগাটুকু আগের মতোই আছে। কিন্তু আমি নিশ্চিত সে (দলে জায়গা না পেয়ে) খুব কষ্ট পেয়েছে এবং তাঁর রাগটা মূলত আমার উপরই।”
এই রাগ বেশীদিন থাকবে না এবং তাঁদের সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক হবে- এমনটাই আশা করছেন দেল-বস্ক। সঙ্গে এ-ও জানাচ্ছেন, ক্যাসিয়াসকে দলে না রাখার সিদ্ধান্তটা তাঁর একার নয়, “হতে পারে আমাদের সিদ্ধান্তটা (ক্যাসিয়াসের বদলে ডি গিয়াকে নেয়া) সঠিক ছিল না, হয়তো এটা একটা মস্ত বড় ভুলই ছিল। কিন্তু আমি এমন একজন খেলোয়াড়কে নিয়ে গর্বিত যে জাতীয় দলের হয়ে ১৬৭টি বার মাঠে নেমেছে। তিন-চারটা ম্যাচ খেলতে না পারার জন্য তাঁর সফল ক্যারিয়ারে কোনো দাগ পড়বে বলে আমি মনে করি না।”