কিক অফের আগেঃ ইতালি-ফাঁড়া কাটাতে পারবে জার্মানি?
দুই দলই চার বার করে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। বিশ্ব ফুটবলে ইতালি ও জার্মানি সবসময়ই সমীহ জাগানোর মতো দল। কিন্তু শক্তি বা ইতিহাসের পাল্লায় দুই দলের যতটাই সমতা থাক, বড় আসরে ইতালির সামনে এলেই কেমন যেন মিইয়ে পড়ে জার্মানি। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে এখন পর্যন্ত ইতালিকে হারাতে পারেনি জার্মানি। আজো কি কোয়ার্টার ফাইনালে সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে?
এই মুহূর্তে দলীয় শক্তির বিচারে পাল্লাটা জার্মানির দিকেই হেলে থাকা উচিত। বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ইউরোর শুরুটা একটু আড়ষ্টভাবেই করেছিল। কিন্তু বড় টুর্নামেন্টে যেমন হয়, প্রতি ম্যাচেই যেন নিজেদের ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ক্রুস, খেদিরারা মাঝমাঠে আলো ছড়াচ্ছেন, গোমেজ- ড্রাক্সলার-মুলারে জোয়াকিম লোও পেয়ে গেছেন আক্রমণের প্রথম পছন্দের তিনজনকে। প্লেমেকারের ভূমিকায় মেসুত ওজিলও উজ্জ্বল। রক্ষণে হামেলস ফিরেছেন, কিমিকও রাইট ব্যাক নিয়ে কোচের দুশ্চিন্তা অনেকটাই দূর করেছেন। টুর্নামেন্টে একমাত্র দল হিসেবে এখন পর্যন্ত কোনো গোল খায়নি জার্মানি।
সেই তুলনায় ইতালি দলটা তো অনেকটাই দীনহীন। সেই অর্থে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো কোনো খেলোয়াড় নেই। তার ওপর আজ চোটের জন্য খেলতে পারবেন না কানদ্রেভা, ডি রসিরাও। তারপরও আন্তোনিও কন্তে আশাবাদী হবেন কেন ?
শুধু ইতিহাস না, ফর্মও যে ইতালিকে আশার আলো দেখাচ্ছে। খুব সম্ভবত এখন পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে গোছানো দল ইতালিই। পুরো দলটা এক সুতোয় গেঁথেছেন আন্তোনিও কন্তে, দলীয় কৌশলের কারসাজিতে খেলোয়াড়দের সীমিত সামর্থ্যেও নিজেদের সেরাটা বের করে আনছেন। রক্ষণে কিয়েলিনি-বারজাগলি-বনুচ্চির বিবিসি যেন রীতিমতো দুর্গ, গোলপোস্টের নিচে বুফন তো আছেনই। ৩-৫-২ ফর্মেশনে দুই উইংব্যাক ডি শিলিও, ফ্লোরেঞ্জিরা মধ্যমাঠের কাজও সহজ করে দিচ্ছেন। গ্রাজিয়ানো পেল্লে সম্ভবত এবারের ইউরোর সেরা প্রথাগত স্ট্রাইকার।
দলীয় সংহতিই আজ কন্তের বর আশা। আর ইতিহাস তো আছেই। গত ইউরোতেও সেমিফাইনালে দুই দলের ম্যাচের আগে জার্মানিকেই অবিসংবাদিত ফেবারিট মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু মারিও বালোতেল্লির জোড়া গোলে ইতালিই শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। আজও কি সেরকম কিছুর পুনরাবৃত্তি হবে ?