প্রচারমাধ্যমকে ধুয়ে দিলেন কন্তে
টুর্নামেন্ট শুরু আগে ইতালির সামর্থ্যের দৌড়ের সামনে প্রশ্নবোধকটা ছিল বড়সড়ই। এর উপর কোচ অ্যান্তোনিও কন্তে ইতোমধ্যেই চুক্তিবদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন ইংলিশ ক্লাব চেলসির সাথে। উপর্যুপরি ইনজুরির হানায় ভেরাত্তি, মার্কিসিও, মন্টেলিভোর মত দলের গুরুত্বপূর্ণ সব অস্ত্র ছিটকে যেতে শুরু করলে আজ্জুরিদের দুশ্চিন্তার ষোলোকলা পূর্ণ হয়। তবে শেষ পর্যন্ত দারুণ লড়াই-ই উপহার দিয়ে গেছেন বুফনরা।
জার্মানির কাছে ট্রাইব্রেকারে হেরে চলতি ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হলেও ইতালির খেলা মুগ্ধতা ছড়িয়ে গেছে আসরজুড়ে। কিন্তু শেষ আট থেকে বিদায়টা ঠিক মানতে পারছেন না কোচ অ্যান্তোনিও কন্তে। সেই হতাশা থেকেই কিনা, যাবার বেলায় ক্ষোভ ঝেড়ে দিয়ে বলছেন, জাতীয় দলের কোচ হিসেবে গণমাধ্যম বা অন্য কোনো তরফেই কোনোরকম সহযোগিতা তিনি পান নি।
কোয়ার্টার ফাইনাল শেষে এমন হতাশাই ঝরল কন্তের কণ্ঠে, “কাউকে পাশে পাই নি। না মিডিয়া, না অন্য কেউ। সবসময়ই যেন লড়াইটা ছিল কন্তে বনাম বাকি সবাই। অথচ আমি যা কিছু করেছি জাতীয় দলের স্বার্থেই, নিজের জন্য নয়।”
খেলোয়াড়দের নিয়ে কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত সময়ও তিনি পান নি বলে অভিযোগ করছেন, “আমি খেলোয়াড়দের আরও কিছু বেশী সময়ের জন্য চেয়েছিলাম বলে ইতালিয়ান কাপের ফাইনালটা পিছিয়ে দিতে বলেছিলাম। কাজ হয় নি। আমি আশা করবো ভবিষ্যতে জাতীয় দলকে দাঁড় করানোর জন্য আরও বেশী সময় দেয়া হবে।”
হাতে গোনা যাদের কাছ থেকে সমর্থন পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আলাদা করে ইতালির ফুটবল ফেডারেশন প্রধানের কাছে কৃতজ্ঞ আজ্জুরিদের বিদায়ী কোচ। হতাশা থাকলেও তাঁর প্রত্যাশা দলকে যেখানে রেখে যাচ্ছেন, সেখান থেকে আরও এগিয়েই যাবে ইতালি, “জাতীয় দলে, এই জার্সিতে চিহ্ন হিসেবে ভালোবাসাই রেখে যাচ্ছি আশা করি। পুরো টুর্নামেন্টে এই বার্তাটাই দেয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি এভাবে বিদায় নিলেও সে প্রচেষ্টায় কোনো ছেদ পড়বে না।”