লড়াইটা রোনালদো-বেলের নয়, পর্তুগাল-ওয়েলসের
বুধবার রাতে ইউরোর প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে পর্তুগাল-ওয়েলস; অন্যভাবে বললে রোনালদো-বেল। গোটা ফুটবলবিশ্বই অপেক্ষা করছে এই দুই রিয়াল তারকার লড়াই দেখতে। তবে গ্যারেথ বেল ব্যক্তিগত কোন লড়াইয়ের ব্যাপার দেখছেন না এখানে। এই ওয়েলশম্যানের মতে দলই এখানে প্রধান বিষয়, “সবাই এটাকে রোনালদো বনাম বেলের লড়াই বলছে কিন্তু এটা পর্তুগাল বনাম ওয়েলসের ম্যাচ। এটা দু’টি দেশের মধ্যে সেমিফাইনাল; এগারজনের বিপক্ষে এগারজন। দলই এখানে সবচেয়ে বড় তারকা।”
কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে অসাধারণ এক জয়ের পর ফাইনাল খেলা নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী ওয়েলসের খেলোয়াড়রা। সেমিফাইনাল খেলার আগেই গ্যারেথ বেল তাঁর ছুটির বন্দোবস্ত করেছেন ইউরো ফাইনালের পরই। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ভাইয়ের বিয়ের বেস্টম্যান স্পিচ দেয়ার কাজটা স্কাইপেই সারার কথা ভাবছেন ডিফেন্ডার ক্রিস গান্টার। আর মিডফিল্ডার জো লেডলিকে তো বাধ্য হতে হয়েছে শনিবার হতে যাওয়া তাঁর বিয়ের তারিখ পিছিয়ে নিতে।
নিজেদের এমন আত্মবিশ্বাস সম্পর্কে বেলের মত, “আমার বিশ্বাস ছিল আমরা কিছু করতে পারবো। তাই আমি এগার তারিখে ছুটি কাটানোর ব্যবস্থা করেছি। আমি অন্যদের মত না। আপনারা গ্রিস ও ডেনমার্কের রূপকথা দেখেছেন তবে কেন ভাবছেন যে আমরা পারবো না? আমরা শিরোপা জিততে চাই। আমাদের সবসময় বিশ্বাস ছিল আমরা এই পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবো। আমরা এখানে শুধু সংখ্যা পূরণ করতে আসি নি। আমরা নিজেদের কাজটা শেষ করতে এসেছি। আমার মনে হয় আমরা টুর্নামেন্ট জুড়ে পরিণত হয়ে উঠেছি।”
টুর্নামেন্ট শুরু আগে এই ওয়েলস দলটি নিয়ে অনেকেই ঠাট্টা করেছিলেন; সে দলে রয়েছেন বেলের ক্লাব সতীর্থ টনি ক্রুসও। আর তাই সেমিফাইনালে রোনালদোর বিপক্ষে খেলার পর ফাইনালে টনির জার্মানির বিপক্ষে খেলতেন চান গ্যারেথ বেল, “আমাকে অনেক ঠাট্টা শুনতে হয়েছে। জাতীয় দলকে নিয়ে বড় কোন আসরে এসে এমন পারফর্ম করতে সত্যিই দারুণ লাগছে। আমার মনে আছে টনি ক্রুস বলেছিল, আমরা শুধু তিন ম্যাচই খেলতে এসেছি। তাই ফাইনালে ওদের বিপক্ষে মুখোমুখি হলে ভালো লাগবে।”