• ইউরো
  • " />

     

    রোনালদোর ইতিহাসে ফাইনালে পর্তুগাল

    রোনালদোর ইতিহাসে ফাইনালে পর্তুগাল    

    ম্যাচের ৪৫ মিনিট সেভাবে খুঁজেই পাওয়া গেল না তাঁকে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যেন পণ করেছিলেন, দ্বিতীয়ার্ধেই সব আক্ষেপ মেটাবেন। একটি গোল করলেন, আরেকটি করালেন। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা চার ইউরোতে গোলের রেকর্ড আগেই করেছিলেন। এবার ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোলের মিশেল প্লাতিনির রেকর্ডও (৯টি) ছুঁয়ে ফেললেন। ওয়েলসকে ২-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোর ফাইনালে চলে গেল পর্তুগাল। ২০১৩ সালের পর এই প্রথম কোনো ম্যাচে অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে জয় পেল পর্তুগাল। 


    অথচ ম্যাচের শুরুটা ম্যাড়ম্যাড়ে ৯০ মিনিটের আভাস দিচ্ছিল। প্রথমার্ধে দুই দলই ছিল বেশি সতর্ক, কেউই তেমন একটা ঝুঁকি নেয়নি। তখন মনে হচ্ছিল, পর্তুগালকে আরও একটি ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ে যেতে হবে। গোলের কোনো পরিষ্কার সুযোগও কেউ পায়নি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বদলে যায় ছক। ৫০ মিনিটেই রাফায়েল গেরেরোর ক্রস থেকে লাফিয়ে দুর্দান্ত এক হেডে গোল করে এগিয়ে দেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তিন মিনিট পরেই আবার ঠিক বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান। চাইলে নিজেই শট করতে পারতেন, কিন্তু একটা থ্রু বাড়িয়ে দেন বক্সের ভেতর। সেটিতে পা ছুঁইয়ে পর্তুগালকে আবার এগিয়ে দেন নানি।

     


    দুই গোল খেয়ে কিছুটা হতচিকিত হয়ে পড়ে ওয়েলস। গ্যারেথ বেল বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার শটে চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু গোল করতে পারেননি। বেলের নেওয়া তিনটি শটই পর্তুগালের গোলমুখে ওয়েলসের প্রচেষ্টা হয়ে থেকেছে। বরং রেনাটো সানচেস, দানিলোরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে পর্তুগাল বড় ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত। শেষ দিকে রোনালদোও টুর্নামেন্টে নিজের চতুর্থ গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু শট চলে যায় বার ঘেঁষে। 


    ওয়েলসের খেলায়ও যেন আগের ম্যাচের সেই ছোঁয়া ছিল না। অ্যারন রামসে ও বেন ডেভিসের অভাব ভালোই টের পেয়েছে। সেভাবে গোলের পরিষ্কার সুযোগও পায়নি। শেষ পর্যন্ত সেমিফাইনালে উঠেই থেমে গেছে বেলদের রোমাঞ্চকর ইউরো অভিযান।