• ইউরো
  • " />

     

    সেই এডারেই পর্তুগালের স্বপ্নপূরণ

    সেই এডারেই পর্তুগালের স্বপ্নপূরণ    

    এমন চিত্রনাট্য বোধ হয় ফুটবলেই লেখা সম্ভব। ম্যাচের প্রথমার্ধের শুরুতেই যখন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ছিলেন, কে ভেবেছিল ম্যাচ শেষে পর্তুগাল ট্রফি জিতবে? তখন চোখের জলে মাঠ ছেড়েছিলেন রোনালদো। ম্যাচ শেষেও কাঁদলেন। তবে সেই কান্না আনন্দের, প্রাপ্তির। এই ট্রফির জন্য যে হাপিত্যেশ ছিল এতোদিন! দেশের হয়ে অবশেষে বড় কোনো ট্রফি জিতলেন রোনালদো। ফ্রান্সকে ১-০ গোলে হারিয়ে পর্তুগালই এখন ইউরোপের নতুন রাজা। 


    সেই গোলটা যার কাছ থেকে এসেছে, ম্যাচের আগে তাঁর কথা কেউ ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেনি। সোয়ানসি সিটির হয়ে প্রিমিয়ার লিগে ১৩টি ম্যাচ খেলে একটিতেও গোল করতে পারেননি এডার। ম্যাচের শেষ দিকে যখন পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো সান্তস রেনাটো সানচেজের জায়গায় তাঁকে নামালেন, অনেকেই ভুরু কুঁচকে ফেলেছিলেন। অথচ সেই এডারই অতিরিক্ত সময়ে দূর থেকে ডান পায়ের মাটি কামড়ানো শটে গোল করে হতভম্ব করে দিলেন স্তাদ দে ফ্রান্সকে। দেশের মাটিতে কোনো দলের বড় ট্রফির জন্য ১৮ বছরের অপেক্ষাটা আরও একটু বাড়ল। 


    কী অদ্ভুত, রোনালদো হারিয়ে ফেলার পরেই যেন একটু গুছিয়ে খেলেছে পর্তুগাল। পেপে, ফন্টের রক্ষণ ছিল দুর্দান্ত; রুই প্যাট্রিসিও তো ম্যাচসেরার পুরস্কার দাবি করতে পারেন। পুরো ম্যাচে সাতটি সেভ করেছেন। তবে যেটি ঠেকাতে পারেননি, সেটি থেকে আন্দ্রে পিয়েরে জিনিয়াক গোল প্রায় করেই ফেলেছিলেন। কিন্তু বারে লেগে বলটা ফিরে আসে। দুর্ভাগ্য পর্তুগালেরও, ক্রসবারে লেগে ফিরে এসেছে রাফায়েল গেরেরোর শটও। 
     


    কিন্তু কে জানত, নিয়তি অলক্ষ্যে এডারকেই নায়ক বানিয়ে রেখেছে। ১১০ মিনিটে ওই গোলের আগে হেড থেকে এগিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু সেটা কাজে লাগাতে পারেননি। পরে আর ভুল করলেন না, দেশকে এনে দিলেন দুর্দান্ত একটা জয়ের উপলক্ষ। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো পেলেন দেশের হয়ে বড় শিরোপা, নিজেকে অমরত্বের পথে কি আরেকটু ওপরে নিয়ে গেলেন?