"জোড়া আঘাতে" বিহ্বল গ্রিজমান
আঁতোয়ান গ্রিজমানের দুঃখ এখন কে সবচেয়ে ভালোভাবে বুঝতে পারবেন? মাইকেল বালাককে জিজ্ঞেস করুন, তিনিই বলতে পারবেন গ্রিজমানের হতাশা। একই বছরে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোর ফাইনালে হেরে যাওয়ার চেয়ে দুঃস্বপ্নের আর কী হতে পারে? ২০০৮ সালে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বালাক যে বেদনায় পুড়েছিলেন, আট বছর পর এসে গ্রিজমানকে আবার তাড়া করে ফিরল সেই দুর্ভাগ্য।
চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে হারের টাটকা স্মৃতি নিয়েই এসেছিলেন ইউরোতে। ওই ফাইনালে পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি, পরে সেটার মাশুল দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের কাছে টাইব্রেকারে হেরে। মনে হচ্ছিল, ইউরোতে সেই দুঃস্বপ্ন ভুলিয়েই দেবেন গ্রিজমান। টুর্নামেন্ট শুরুর সঙ্গে সঙ্গে যেন আরও বেশি আলো ছড়াচ্ছিলেন। ফাইনালের আগে ছয় গোল করে গোল্ডেন বুটও নিজের করে নিয়েছেন। কিন্তু গ্রিজমানের কাছে এসব যে এখন সান্ত্বনা ছাড়া কিছুই নয়।
গ্রিজমান যেন এখনো মেনে নিতে পারছেন না ব্যাপারটা, "এটা খুবই হতাশাজনক, একেবারেই মেনে নেওয়ার মতো না। কিন্তু এটাই ফুটবল।" সেই দায় গ্রিজমানকেও নিতে হবে, হেডটা বাইরে মেরে ম্যাচের সহজতম সুযোগটা যে নষ্ট করেছেন! দায়টা নিজের কাঁধেই নিলেন, "জার্মানির ম্যাচে যেমন খেলেছি, আজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি।"
২৫ বছর বয়সী স্ট্রাইকার অবশ্য পথের শেষে আলো দেখতে পাচ্ছেন। পরের বিশ্বকাপে ফ্রান্স আরও ভালো কিছু করবে বলেই আশাবাদী, "এটা আমাদের রাত ছিল না। আমরা নিজেদের নিয়ে গর্বিত, পরের বার আরও ভালোভাবে ফিরে আসব। এক মাসের মধ্যে দুইটি ফাইনাল হেরে যাওয়া খুব হতাশার। কিন্তু এখন এটা আমাকে মেনে নিতে হচ্ছে।"