বিশ্বকাপ অনিশ্চিত ফকনারের
চোটের প্রকৃতি ও মাত্রা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি এখনও। তবে ‘কার্লটন মিড ট্রাই সিরিজ’-এর ফাইনালে আজ মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শরীরী ভাষা ও পরবর্তীতে সতীর্থদের মন্তব্য খুব দ্রুত তাঁর মাঠে ফেরার ব্যাপারে আশার আলো দেখাচ্ছে না মোটেই। মোদ্দা কথা হচ্ছে, জেমস ফকনারের বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা এখন দুলছে একটা পেন্ডুলামের মত।
দু’বছর আগের ঠিক এই দিনে অভিষেক হয়েছিল একদিনের আন্তর্জাতিকে। পার্থে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেদিন ব্যাটিংয়ের সুযোগ না হলেও ১৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন একটা সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারের। দুই বছর পর এসে দেখা যাচ্ছে ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার সেরা অলরাউন্ডার ফকনার। লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করা এই খেলোয়াড়ের ব্যাটিং গড়টা অনেক বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানের মনেও ঈর্ষা জাগানোর মত- ৪৮.১২! আর ৩৮ ম্যাচ খেলে ইতিমধ্যেই উইকেটের অর্ধ-শতক পূর্ণ করে ফেলা প্রমাণ করে বোলার ফকনারও কম ভয়ঙ্কর নন।
এমন একজন খেলোয়াড়ের বিশ্বকাপে খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়াটা অস্ট্রেলিয়ার জন্য বেশ বড় রকমের দুশ্চিন্তার কারণ। আজকের ফাইনালে ম্যাচসেরা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের কথায়ও এরকমটাই প্রকাশ পেল; “সে অসাধারণ একজন ক্রিকেটার এবং অস্ট্রেলীয় ‘আউটফিট’-এর অপরিহার্য অংশ। (তবে) আমরা শুধু আশা করতে পারি যে ব্যাপারটা কিছুই না এবং পরের সপ্তাহেই আমাদের সাথে অনুশীলনে যোগ দেবে সে। আমি মনে করি সে (বর্তমানে) খেলাটার শ্রেষ্ঠ ‘ফিনিশার’।"
শ্রেষ্ঠ কিনা সেটা নিয়ে তর্ক হতে পারে, তবে ব্যাট হাতে হোক কিংবা বল, ইনিংসের শেষ দিকে তাঁর মত সপ্রতিভ খেলোয়াড় বিশ্বক্রিকেটে খুব কমই এসেছে। আজকের ম্যাচেও আট নম্বরে নেমে ২৪ বলে করেছেন হার না মানা ৫০। বল হাতে নিজের প্রথম বলেই ফিরিয়েছেন জো রুটকে। অস্ট্রেলিয়ার সমর্থকরা বিশ্বকাপ একাদশে ফকনারের উপস্থিতিটা ঐকান্তিকভাবেই চাইবেন।