ইচ্ছে করে ক্যাচ মিস!
ফুটবলে আত্মঘাতী গোল বলে একটা ব্যাপার আছে। ক্রিকেটে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট অনেকটা সেরকম। তবে আক্ষরিক অর্থেই আত্মঘাতী বলে কিছু থেকে যাকে সেটা বোধহয় করেছিলেন মাইক ব্রিয়ারলি - জিওফ বয়কট। বিশেষ করে বয়কট নিজেদের পায়ে এমনতরো ভাবেই কুড়াল চালাচ্ছিলেন, সুযোগ পেয়েও তাঁকে আউট করেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড!
ম্যাচটা ১৯৭৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল। ইংল্যাণ্ডের লক্ষ্য ২৮৬ রান। হোক ৬০ ওভারের ম্যাচ, তারপরও লক্ষ্য মোটেও ছোট নয়। সেটা করতে হলে শুরু থেকে রানের চাকাটা তো সচল রাখতে হবে। কিন্তু ব্রিয়ারলি-বয়কট যেন প্রতিযোগিতায় নামলেন কে কার চেয়ে স্লথ ব্যাটিং করতে পারেন। খুব শিগগিরই অবশ্য ব্রিয়ারলি হার স্বীকার করে নেন বয়কটের কাছে। দুই অঙ্ক ছুঁতে বয়কটকে কত ওভার খেলতে হয়েছিল জানেন ? ১৭! ওয়েস্ট ইন্ডিজ তখন নিশ্চিন্ত-নির্ভার, এমন খেললে তাদের তেমন কিছু না করলেও চলবে। এমন সময় হঠাত কী যেন হল বয়কটের, ভিভ রিচার্ডসের একটা বল উড়িয়ে মারতে গেলেন। ক্লাইভ লয়েডের ক্যাচটা ধরতে না পারার কোনো কারণ ছিল না, কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে সেটা হাত থেকে ফেলে দেন।
নিন্দুকেরা বলেন, লয়েড ইচ্ছা করেই ক্যাচটা ফেলে দিয়েছিলেন। আসলেই কি তাই ? লয়েড অবশ্য পরে দাবি করেছেন, ব্যাপারটা দুর্ঘটনাবশত ছিল। তবে স্বীকার করেছেন, বয়কটকে আউট করার কোনো ইচ্ছাই তাদেরছিল না। রিচার্ডসও বলেছেন, বয়কট ক্রিজে থাকায় তারা দারুণ স্বস্তিতে ছিলেন। তার মানে কী...
সে যাই হোক, এরপর একটু তেঁড়েফুঁড়ে খেলতে নামেন বয়কট, দুইটি চারু মারেন। কিন্তু ইংল্যান্ডের কবর খোঁড়ার কাজ সারা হয়ে গিয়েছিল তার আগেই। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা ৯২ রানে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বয়কট ১০৫ বলে ৫৭ রান করে অবশ্য শেষ পর্যন্ত আউটই হয়েছিলেন।