চূড়ান্ত স্বীকৃতি না পাওয়া
১৯৭৫-এর প্রথম আসরের মতো ৭৯-র বিশ্বকাপেও ছিল না কোন ‘প্লেয়ার অব দা টুর্নামেন্ট’-এর স্বীকৃতি । যার ফলশ্রুতিতে এই আসরের দ্যুতিময় তারকাদের মধ্যে বেছে নেওয়া হয়নি বিশেষ কাউকে । তবে যদি সেটা হতো, তবে ক্যারিবিয়ান গ্রেট স্যার ভিভ রিচার্ডসই সম্ভবত বিবেচনায় আসতেন সবার আগে ।
আগেরবার ছিলেন একেবারেই নিষ্প্রভ । সেই আক্ষেপটা ঘোচাতেই কিনা, পরেরবার ব্যাট-বল দুটোতেই ব্যাপক আগ্রাসন নিয়ে ‘লাইমলাইট’-এ ভিভ । ১০৮.৫০ গড়ে ২১৭ রান করার পথে ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে করেন টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ১৩৮ । ৪ ম্যাচে তুলে নেওয়া উইকেটের সংখ্যা তিন ।
টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক অবশ্য ছিলেন আরেক ক্যারিবিয়ান গর্ডন গ্রিনিজ । ৪ ম্যাচে ৮৪.৩৩ গড়ে ২৫৩ রান করেন তিনি । ব্যাটিংয়ে এছাড়া আলো ছড়িয়েছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান গ্রাহাম গুচ(৫২.৫০ গড়ে ২১০ রান), নিউজিল্যান্ডের গ্লেন টার্নার(৮৮ গড়ে ১৭৬ রান) ও জন রাইট(৪১.৫০ গড়ে ১৬৬ রান) ।
সেরা বোলারের কোন পুরস্কার থাকলে সেটা নিঃসন্দেহে যেত ইংলিশ পেসার মাইক হেনড্রিকের হাতেই । মাত্র ১৪.৯০ গড়ে টুর্নামেন্টে তাঁর উইকেটের সংখ্যা ১০, যেখানে ছিল পাকিস্তানের সাথে একটা ম্যাচে বিধ্বংসী এক ফিগার (১২-৬-১৫-৪) । হেনড্রিকের পরে বোলিং পারফরমেন্সে সামনের দিকে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের ব্রায়ান ম্যাকেঞ্জি(১৫.৬৬ গড়ে ৯ উইকেট), পাকিস্তান অধিনায়ক আসিফ ইকবাল(১৭.৪৪ গড়ে ৯ উইকেট), ইংল্যান্ডের ক্রিস ওল্ড(১৭.৪৪ গড়ে ৯ উইকেট), ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাইকেল হোল্ডিং(১৩.২৫ গড়ে ৮ উইকেট) প্রমুখ ।