• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫
  • " />

     

    বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম অঘটন

    বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম অঘটন    

    এখনকার ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কা আর ভারতের মধ্যকার শক্তির পার্থক্য হয়তো খুবই সামান্য । তবে এমন একটা সময় ছিল যখন ভারতের কাছে শ্রীলঙ্কার হার মোটামুটি প্রত্যাশিতই ছিল । বড় দলগুলোর বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কার জয়কে তখন ধরা হতো অঘটন হিসেবেই । বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম অঘটনের জন্ম দেয় কিন্তু এই শ্রীলঙ্কাই । সেটা ছিল ১৯৭৯ বিশ্বকাপ, ভেন্যু ওল্ড ট্রাফোর্ড, প্রতিপক্ষ ভারত ।

     

    একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি । তিন দিনের ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ হয়তো জীবনে অনেক দেখেছেন । কিন্তু তিন দিনের ওয়ানডে ম্যাচ ? কেউ কেউ হয়তো স্মৃতির পাতা হাতড়ে বের করে ফেলেছেনযারা এখনও ভ্রু কুঁচকে আছেন, তাঁদের জন্য বলছি । উপরোল্লেখিত ১৯৭৯ বিশ্বকাপের ঐ অঘটনের ম্যাচটাই চলেছিল তিন দিন ধরে !

     

    ১৬ই জুন, শনিবার । গ্রুপ ‘বি’ এর শ্রীলঙ্কা ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচটি শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের অনেকটা পরে । এর আগের দিন অনুশীলনে হ্যামস্ট্রিং চোটে পড়ে এ ম্যাচের একাদশে ছিলেন না শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক অনুরা তেনেকুন । প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চমৎকার ব্যাটিং কন্ডিশনে একটু ধীরগতিতে হলেও স্বচ্ছন্দেই ব্যাট করছিলেন শ্রীলংকার টপ-অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা ।

     

     

    সুনীল ওয়েতিমুনি ও রয় ডায়াজ একটা চমৎকার ভিত গড়ে দেওয়ার পর পাওয়ার হিটিংয়ের দায়িত্বটা নেন দুলিপ মেনডিস । দলীয় ২২৭ রানে তিনি আউট হওয়ার সময় তাঁর রান ছিল ৫৭ বলে ৬৪, যেখানে একটি বাউন্ডারির সাথে ছিল তিন-তিনটি ছয়ের মার । পুরো ৬০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ২৩৮ ।

     

    সেদিন অনেক দেরী হয়ে যাওয়ার কারণে, আর দিবা-রাত্রির খেলার চল তখনও আন্তর্জাতিক আঙিনায় শুরু না হওয়ায় ভারত আর ব্যাটিং করতে নামতে পারেনি । ২৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করার জন্য তাঁদের অপেক্ষা করতে হয় সোমবার পর্যন্ত । সোমবার জবাব দিতে নেমে ইনিংসের মাঝ বরাবর পর্যন্ত বেশ ভালোভাবেই জয়ের ধারায় ছিল তারা । ১১৯ রানে গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথের রান-আউটে ঘটে ছন্দপতন । এরপর সোমাচন্দ্র ডি সিলভার ঘূর্ণিজাদুর সাথে টনি অপাথার গতি যোগ হলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতন শুরু হয় ভারতের । শেষ পর্যন্ত ১৯১ রানে অল-আউট হয় ভারত । আর সেই সাথে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয়ের স্বাদ পায় তখনও পর্যন্ত আইসিসির সহযোগী সদস্য শ্রীলঙ্কা ।