• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫
  • " />

     

    ব্যাটিং আধিপত্য কমানোর উপায়?

    ব্যাটিং আধিপত্য কমানোর উপায়?    

    একটা সময় ছিল যখন ৫০ ওভারের ম্যাচে দু’শোর মত রান হলেই ভালো রকমের লড়াই হত। সময়ের পালাবদলে অনেক পরিবর্তনের সাথে সাথে বদলে গেছে সীমিত ওভারের ক্রিকেটও। ৩০০-র উপরে কোন স্কোরকেও এখন নিরাপদ মনে হয় না অনেক সময়। ফিল্ডিংয়ে বাধ্যবাধকতা, ব্যাটের আকার পরিবর্তনসহ বেশ কিছু কারণ রয়েছে এর পেছনে। আরও অনেক ব্যাপারের সাথে এই বিষয়টাও কাল উঠে এসেছে ক্রিকইনফোকে দেয়া ডেভিড রিচার্ডসনের সাক্ষাৎকারে।

     

    ফিল্ডিং বাধ্যবাধকতার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললে আইসিসির প্রধান নির্বাহী বলেন, এটা শুধু ব্যাটসম্যানদের মধ্যেই নয়, আক্রমনাত্মকতা নিয়ে এসেছে ফিল্ডিং দল, সে দলের অধিনায়কসহ পুরো খেলাটার মধ্যেই। তাঁর মতে, ক্রিকেটের এই পালাবদল অনেকাংশেই ‘পজিটিভ’ ভূমিকা পালন করেছে, বিশেষ করে দর্শকদের মধ্যে।

     

     

    তবে ব্যাটের আকার পরিবর্তনের ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছেন রিচার্ডসন। ১০-১৫ বছর আগের তুলনায় এখনকার ব্যাটে ‘স্ট্রোক স্পট’-এর আধিক্য বেশি বলে মনে করেন তিনি। এর ফলাফল স্বরূপ ব্যাটে-বলে ঠিকমত সংযোগ না হলেও অনেক সময় ছয় হতে দেখা যায় আজকাল। এ ব্যাপারটা নিয়ে শীঘ্রই আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।

     

    আইসিসির প্রধান নির্বাহী হিসেবে এবারই প্রথম বিশ্বকাপ রিচার্ডসনের। নিরপেক্ষ ভেন্যুর পিচ প্রস্তুতি আইসিসির অধীনে নিয়ে আসায় প্রধান ভূমিকা পালনকারী এই ক্রিকেট সংগঠক মনে করেন, দুই প্রান্ত দিয়ে দুটো বল ব্যবহারের রীতি সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ব্যাটসম্যান আধিপত্য কমাতে কিছুটা হলেও ভূমিকা রেখেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ডি ভিলিয়ার্সের অবিশ্বাস্য ইনিংস অবশ্য পক্ষে যায় না এ বক্তব্যের।

     

    ব্যাটসম্যান আধিপত্য কমিয়ে আনার আরেকটা উপায় হিসেবে তিনি সীমানা বড় করার ব্যাপারটা তুলে আনেন। আসন্ন বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ায় হওয়ায় সীমানা বড় করার ভালো একটা সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। রিচার্ডসনের বক্তব্য অনুযায়ী এবার বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোতে যেখানে সম্ভব হয়, সীমানা দড়ি কমপক্ষে ৯০ গজ পর্যন্ত পিছিয়ে দেয়া হবে। ছবি-সৌজন্যঃগেটিইমেজেস