অলিম্পিক মঞ্চেই প্রেমিকাকে প্রস্তাব
২০১২ অলিম্পিকেও মেয়েদের ৩ মিটার স্প্রিংবোর্ড ডাইভিং এ রূপা জিতেছিলেন। এবারের রিও অলিম্পিকেও একই ইভেন্টে দ্বিতীয় হয়েছেন। মঞ্চে মেডেল নেয়ার অনুভূতিটা তাই নতুন কিছু নয় চাইনিজ ডাইভার হি যি এর কাছে। তবে গতকাল মঞ্চে যে চমক পেয়েছেন সে ঘটনার বোধ হয় তুলনা হয়না কোনো মেডেলের হিসেবেও!
পদক নেয়া শেষে যখন মঞ্চ ছাড়তে যাচ্ছিলেন হি যি, তখনই হাজির হি যির প্রেমিক কিউয়িন কাই! গত সপ্তাহে যিনি নিজেও সিনক্রোনাইজড ডাইভিংয়ে জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ। প্রেমিকার খেলা দেখতেই যে শুধু পুলে আসেননি কাই, সেটা বোঝা গেল একটু পরই!
মঞ্চে থেকে নামার সাথে সাথেই হি যি এর সামনে গিয়ে দাড়ালেন কাই। হাঁটু গেড়ে বসলেন। লাল রঙয়ের একটা মখমলের বাক্সটা নিজে হাতে খুললেন। ডায়মন্ডের রিংটা বের করেই পুরো গ্যালারির সামনে নিজের প্রেমিকাকে দিয়ে বসলেন বিয়ের প্রস্তাব। হি যি তখন ঘটনার আকস্মিকতায় কেঁদেই ফেললেন! চোখের পানি মুছতে মুছতেই নিজের কাউকে জড়িয়ে তখনই রাজি হয়ে গেলেন হি। প্রেমিকার কান্না দেখে কাইও নিজেকে ধরে রাখতে না পেরে কেঁদেই ফেললেন! রিও অলিম্পিকের সুইমিং পুলে রচনা হল এক অন্যরকম প্রেমকাহিনী!
গত ৬ বছর ধরেই একসাথে রয়েছেন এই যুগল। এই ঘটনার আগের দিন দুপুরে নাকি কাইকে বিড় বিড় করে কি সব যেন মুখস্থ করতে দেখেছিলেন হি যি। কৌতূহলবশত জিজ্ঞেসও করেছিলেন কাইকে! জবাবে কাই নাকি বলেছিলেন নিজের পছন্দের গান গাচ্ছেন তিনি! এসব কথা হি যি নিজেই জানিয়েছেন সাংবাদিকদের।
এখনই নাকি বিয়ের কোনো চিন্তা মাথায় ছিল না ২৫ বছর বয়সী হি যি এর। তবে অলিম্পিকের পুলে অমন সময়ে প্রেমিকের এমন চমকে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হওয়া ছাড়াও আর কোনো পথ ছিল না । হাঁটু গেড়ে কি বলেছিলেন কাই সে প্রশ্ন জানতে চাওয়া হলে উচ্ছ্বসিত হি বলেন- "আমি আসলে পুরোপুরি মনেও করতে পারছি না ও কি কি বলেছিল, তবে বেশির ভাগই ছিল প্রতিজ্ঞা। আমার কাছে সবচেয়ে যে কথাটি ভালো লেগেছে সেটি হল, কাই বলেছে সারাজীবন সে আমার টিপ্পনী সহ্য করতে পারবে"!
এবারের অলিম্পিকে এমন বিয়ের প্রস্তাব দেয়ার ঘটনা কিন্তু এটিই প্রথম নয়। ব্রাজিলিয়ান রাগবি খেলোয়াড় কেরুল্লো আর এদুনাও কদিন আগেই বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন একে অপরের কাছ থেকে।