প্রত্যাশা দিনবদলের
কড়া নাড়ছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। সপ্তাহ দুয়েকও আর বাকি নেই। বিশ্বকাপের মতো আসরে বাংলাদেশ মানে এখনও কেবল ক্রিকেটই! দুনিয়াকে লাল-সবুজের শক্তির জায়গা জানান দেয়ার সুযোগটা যে এখানেই! দেশের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝেও তাই বিশ্বকাপ জ্বরের উত্তাপটা বেশ ভালোভাবেই টের পাওয়া যাচ্ছে। বিশ্বকাপ শুরুর ১০০ দিন আগে থেকে প্যাভিলিয়নের ক্ষণগণনায় পাঠকদেরকে মনে করিয়ে দেয়া হচ্ছে বিগত সব আসরের রোমন্থনীয় স্মৃতিগুলো। ব্যাটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই মাঠে গড়ানোর প্রাক্কালে অংশগ্রহণকারী দলসমূহ নিয়ে চলছে আমাদের বিশেষ আরেকটি ধারাবাহিক আয়োজন। আজ থাকছে জিম্বাবুয়ের কথা।
বিশ শতকের শেষ থেকে একুশ শতকের শুরুর বছর দুয়েক যদি জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সোনালি অতীত হয় তবে তারপরের পাঁচ-ছয়টা বছরকে বলতে হবে ফ্লেচার-ফাওয়ারদের উত্তর প্রজন্মের অন্ধকার যুগ। ক্রান্তিকালটুকু কাটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকান দেশটির ক্রিকেটীয় পুনর্বাসন প্রক্রিয়া এখনও চলছে। তবে কালেভদ্রের দুয়েকটা জয় ছাড়া উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সেভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। গত বছরের ৩১ আগস্ট ত্রিদেশীয় একদিনের সিরিজের একটি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৩ উইকেটে হারান টেলর-মাসাকাদজারা। সে জয়ে চিগুম্বুরা বাহিনীর আত্মবিশ্বাসের পারদ যদি এতোটুকুও চড়ে থাকে, তবে বছর শেষের বাংলাদেশ সফরে সবক’টি ম্যাচে হার সেটা নামিয়ে দিয়েছে অনেকটাই।
আসছে বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে বড় আশার নামটা হতে পারে ডেভ হোয়াটমোর। শ্রীলংকাকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তানেও সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে গেছেন। এ যাত্রায় তাঁর চ্যালেঞ্জের সুফল মিললে জিম্বাবুয়ের সোনালি অতীত ফিরতেই পারে। অধিনায়ক অ্যাল্টন চিগুম্বুরা ব্যাটে-বলে পুরনো আস্থার নাম। ব্যাটিং লাইন আপে অভিজ্ঞ মাসাকাদজা, টেলর, রাজাদের সঙ্গ দেবেন সম্ভাবনাময় সলোমন মায়ার। অভিজ্ঞতাই পুঁজি অলরাউন্ডার শন উইলিয়ামস, স্টুয়ার্ট মাতসিকেনেরিদের। অফ-স্পিনে ‘নিষিদ্ধ’ উৎসেয়া যোগ দিতে পারেন পানিয়াঙ্গারা, চাতারাদের পেস আক্রমণে।
পুলে জিম্বাবুয়ের চেয়ে কাগজকলমে দুর্বল দল আয়ারল্যান্ড, আরব আমিরাত। এদের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয় পেলেও বাকি চার পরাশক্তির অন্তত একটিকে হারিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করতে ‘অঘটন’ই ঘটাতে হবে। গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলায় একটা ভালো দিন বদলে দিতে পারে অনেক কিছু। জিম্বাবুয়ের দিনবদলটা প্রয়োজন ক্রিকেটের স্বার্থেই।