ইতিহাসের প্রেরণায় শঙ্কা বর্তমানের
কড়া নাড়ছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। সপ্তাহ দুয়েকও আর বাকি নেই। বিশ্বকাপের মতো আসরে বাংলাদেশ মানে এখনও কেবল ক্রিকেটই! দুনিয়াকে লাল-সবুজের শক্তির জায়গা জানান দেয়ার সুযোগটা যে এখানেই! দেশের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝেও তাই বিশ্বকাপ জ্বরের উত্তাপটা বেশ ভালোভাবেই টের পাওয়া যাচ্ছে। বিশ্বকাপ শুরুর ১০০ দিন আগে থেকে প্যাভিলিয়নের ক্ষণগণনায় পাঠকদেরকে মনে করিয়ে দেয়া হচ্ছে বিগত সব আসরের রোমন্থনীয় স্মৃতিগুলো। ব্যাটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই মাঠে গড়ানোর প্রাক্কালে অংশগ্রহণকারী দলসমূহ নিয়ে চলছে আমাদের বিশেষ আরেকটি ধারাবাহিক আয়োজন। আজ থাকছে পাকিস্তানের কথা।
বিশ্বকাপ যখন অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে ফিরছে, পাকিস্তানকে সেটা দোলা না দিয়ে পারে না। বিশ্ব ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বেও একমাত্র বিজয়মুকুট তো সেবারই পরতে পেরেছিল পাকিস্তান! একই সঙ্গে সম্পূরক প্রশ্ন চলে আসে, এবার কি পাকিস্তান সেই সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করতে পারবে ? খুব একটা আশাবাদী বোধহয় মিসবাহ নিজেও হতে পারছেন না। এমনিতেই ওয়ানডেতে গত বছরটা ভালো যায়নি পাকিস্তানের। বাংলাদেশে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছিল বটে, কিন্তু সেখানেও হেরে যায় শ্রীলঙ্কার কাছে। এরপর শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের কাছে হারতে হয় ওয়ানডে সিরিজে। ফর্মটা অন্তত আশার আলো দেখাচ্ছে না !
সবচেয়ে বেশি আসলে ভোগাতে পারে সাঈদ আজমলের অনুপস্থিতি। এই অফ স্পিনার ওয়ানডের এক নম্বর বোলার ছিলেন অনেকদিন ধরেই। বিশ্বকাপেও তুরুপের মূল তাস হতে পারতেন। কিন্তু অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ায় জায়গা হয়নি দলে। হাফিজও অ্যাকশনের ঝামেলায় বল করতে পারবেন না, দলে আছেন ব্যাটসম্যান হিসেবেই। শেষ মুহূর্তে শুরুর আগেই শেষ হয়ে গেছে জুনাইদ খানের বিশ্বকাপ। সেই সঙ্গে অভিজ্ঞ উমর গুলও ছিটকে যাওয়ায় খানিকটা খর্বশক্তির বোলিং নিয়েই অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড যাচ্ছে পাকিস্তান ।
তবে এই দলে নতুন-পুরনোদের ভারসাম্যটা বেশ ভালোই। ১৫ জনের দল আট জন এর আগে বিশ্বকাপ খেলেছেন। নতুনদের মধ্যে অনেকটাই আনকোরা হারিস সোহেল নিজের সম্ভাবনা জানিয়ে দিয়েছেন গত কিছুদিন আগে। উমর আকমল, শোয়েব মাকসুদ , আহমেদ শেহজাদরাও নিজেদের দিনে ভয়ংকর হতে পারেন। অভিজ্ঞতার যা একটু অভাব পেস বোলিংয়ে, হাল ধরতে হবে ইরফান- ওয়াহাবদেরকেই। তবে মোটামুটি নিশ্চিত করেই বলে দেওয়া যায় ইউনুস-মিসবাহদের এটাই শেষ বিশ্বকাপ, আফ্রিদি তো কদিন আগেই জানিয়ে দিয়েছেন বিশ্বকাপ খেলেই অবসর নেবেন। বিদায়ী আসরটা নিশ্চয় নিজের মতো করে রাঙিয়ে দিতে চাইবেন!