মিলানেই যেতে চেয়েছিলেন ইব্রা
এখন পর্যন্ত মাত্র কয়েকটা ম্যাচই খেলেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। তবে এর মধ্যেই ইউনাইটেড ভক্তদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন ইব্রাহিমোভিচ। তাঁর গোলেই ইতিমধ্যে ওল্ড ট্রাফোর্ডের শোকেজে জমা পড়েছে ‘কমিউনিটি শিল্ড’ ট্রফি। তাছাড়া প্রিমিয়ার লিগেও প্রথম দুই ম্যাচের জয়ের নায়ক ছিলেন ইব্রাহিমোভিচ। অথচ ম্যানচেস্টার ইউয়াইটেডে নাকি খেলতে আসার কথাই ছিল না এই সুইডিশ ফুটবলারের। এমনটাই জানালেন ইব্রার এজেন্ট মিনো রাইওলা।
বর্তমানে ইব্রাহিমোভিচ সহ মিখিতারিয়ান, পগবা এবং রোনালদোর মত অনেক জনপ্রিয় ফুটবলারদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন মিনো রাইওলা। তাঁর মতে ওল্ড ট্রাফোর্ড নয়, মিলানে যেতে চেয়েছিলেন ইব্রাহিমোভিচ, “মিলান তাঁর হৃদয়ে মিশে আছে। কিন্তু ইতালির ক্লাব তার জন্য অতটা বেতন দিতে পারেনি, তাই আমাদের অন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হয়েছে। ইতালির দলগুলোর মধ্যে মিলান তাঁর সবচেয়ে প্রিয়, সম্ভবত পুরো বিশ্বের যেকোন দলের চেয়ে বেশি পছন্দের। তবে এই গ্রীষ্মে আমরা সবসময় ইউনাইটেডকে লক্ষ্য রেখেই কাজ করেছি।”
সান সিরোতে মাত্র দুই বছর কাটিয়েছিলেন ইব্রাহিমোভিচ। মিলানের হয়ে ৮৫ ম্যাচ খেলে ৫৭টি গোল ও ২৪টি অ্যাসিস্ট করেন এই সুইডিশ। মিলানকে নিজের দ্বিতীয় বাড়ি বলেই জানিয়েছিলেন এই ফুটবলার। তবে সেই বাড়িতে বেশিদিন থাকা হয়নি তাঁর; ২০১০ সালে মিলানে যোগ দেয়ার পর ‘১২ তেই পিএসজি তে পাড়ি দিতে হয়েছিল তাঁকে। মূলত প্রয়োজনীয় ফান্ড জমা করার জন্য থিয়াগো সিলভা সহ ইব্রাহিমোভিচকে পিএসজি‘র কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিল এসি মিলান।
মিলান সম্পর্কে একবার ইব্রাহিমোভিচ জানিয়েছিলেন, “যদি জিজ্ঞেস করা হয়, আমি কোন ক্লাবে ফিরে যেতে চাই, আমি মিলানের কথাই বলব” মিলানের মালিকানায় চলছে রদবদল। শোনা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই ইতালির ক্লাবটির মালিকানা নিতে যাচ্ছেন চাইনিজ এক ব্যবসায়ী। ধারণা করা হচ্ছে, জানুয়ারিতে মোটা অংকের টাকা নিয়েই দল গুছাতে নামবে এসি মিলান। তাই রসোনেরিদের জার্সি গায়ে সিরি আ লিগে ইব্রাহিমোভিচকে আবারো দেখার আশা করছেন অনেক মিলান সমর্থকই।