ছিলেন নরওয়ের, ইতিহাস গড়লেন কসোভোর হয়ে
তাঁর খেলা নিশ্চিত ছিল না কয়েক ঘণ্টা আগেও। ছাড়পত্র পেয়ে মাঠে নেমেই বাজিমাত করলেন কসোভোর ভ্যালন বেরিশা। রাশিয়া বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে নরওয়ের সাবেক এই মধ্যমাঠের খেলোয়াড়ের গোলেই ফিনল্যান্ডের সাথে ১-১ এ ড্র করেছে কসোভো। এটি ছিল কসোভোর প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ।
২০০৮ সালে সার্বিয়া থেকে স্বাধীনতা পাওয়া কসোভো এই বছরের মে মাসে ফিফার সদস্যভুক্ত হয়। এখনো নিজেদের কোন আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম নেই। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশের হয়ে খেললে পরবর্তীতে অন্য দেশের জার্সি গায়ে তুলতে নিতে হয় বিশেষ অনুমতি। কিন্তু কসোভোর অনেক ফুটবলারের সেই অনুমতি ছিল না। দলের বেশিরভাগ ফুটবলার ইউরোপের অন্য দেশের হয়ে খেলেছেন। ফিনল্যান্ডের ম্যাচে আগে তাই ১১ জন খেলোয়াড় মাঠে নামানো নিয়েই শঙ্কিত ছিলেন কোচ আলবার্ট বুনজাকি।
তবে শেষ পর্যন্ত ৬ জন খেলোয়াড়ের ব্যাপারে ছাড়পত্র পায় বুনজাকির দল। বেরিশাসহ নিজেদের জাতীয়তা পরিবর্তন করেন আলবেনিয়ার আমির রাহমানি, আলবেন মেহা, হেরোলিড সালা, মিলট রাশিকা এবং সামির উজকানি।
ম্যাচের ১৮ মিনিটেই পাউলুস আরাজুরির গোলে এগিয়ে যায় ফিনল্যান্ড। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ৬০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে হার থেকে রক্ষা করেন বেরিশা। ২৩ বছর বয়সী সুইডেনে জন্ম নেয়া এই খেলোয়াড় ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় খেলেছেন নরওয়ের হয়ে। নরওয়ে জাতীয় দলের হয়েও খেলেছেন ১৯ টি ম্যাচ। কিন্তু বাবা মা কসোভোর অধিবাসী হওয়ায় গোলটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে তাঁর জীবনে। কসোভোর হয়ে ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রথম গোলটি যে তাঁর নামের পাশেই লেখা হয়ে গেছে!
যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতির মাঝে কসোভোর ফুটবল দল এক চিলতে আনন্দের সুবাতাস বয়ে আনল পুরো দেশের জন্য। তবে স্টেডিয়াম না থাকায় ঘরের মাঠের ম্যাচ খেলতে যেতে হবে আলবেনিয়াতে। খুব দ্রুতই নিজেদের দেশে খেলার আশা করছেন দলের সবাই।