লড়াই করে হার বাংলাদেশের
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ২৪৬/১০, ৪৯.৫ ওভার (মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৮৩, তামিম ইকবাল ৮১; মোহাম্মদ ইরফান ৫/৫২); পাকিস্তান ২৪৭/৭, ৪৮.১ ওভার (শোয়েব মাকসুদ ৯৩*, উমর আকমল ৩৯; মাশরাফি ২/৫০, তাসকিন ২/৪১)
ফলঃ পাকিস্তান ৩ উইকেটে জয়ী
শেষ ওভারে টেল এন্ডার ওভাবে ধ্বসে না পড়লে ঠিক আর ক’টা রান যোগ হতে পারতো বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে? কিংবা শুরুতেই এনামুল-মমিনুলকে না হারালে কি ম্যাচের ফল অন্যরকম হতো? অল্পের জন্য হেরে গিয়ে এমন আক্ষেপের হিসেবনিকেশ বাংলাদেশী ক্রিকেটপ্রেমীদের কম করতে হয় নি। আসন্ন বিশ্বকাপের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৩ উইকেটে হেরে সে তালিকাটাই কেবল আরও একটু লম্বা হল।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সোহেল খানের বলে শোয়েব মাকসুদের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এনামুল (০)। দলীয় ১৬ রানের মাথায় মমিনুলও (৭) ফিরে গেলে বিপর্যয়ের শঙ্কা মাথাচাড়া দেয়। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে তামিম-মাহমুদুল্লাহর ১৬৮ রানে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাহ ১০৯ বল মোকাবেলায় ৫ চারে ৮৩ ও তামিম সমপরিমাণ বল ও চারে করেন ৮১ রান।
তবে এই জুটির বিচ্ছেদের পর আবারও শুরু হয় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতন। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মাঝে উল্লেখযোগ্য ৩১ রান সাকিবের ও ১৫ সৌম্য সরকারের। শেষ ওভারে মাত্র ২ রানের বিনিময়ে ৩ জন ব্যাটসম্যান আউট হয়ে গেলে ৪৯.৫ ওভারে বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে যায় ২৪৬ রানে। শেষ ৩টিসহ পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট দখল করেন মোহাম্মদ ইরফান, ৯.৫ ওভারে ৫২ রানের বিনিময়ে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে পাকিস্তানও। দলীয় মাত্র ৮ রানের মধ্যে ফিরে যান দুই ওপেনার আহমেদ শেহজাদ (৫) ও সরফরাজ আহমেদ (১)। ১০৩ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেটের পতন হলে আশার আলো উজ্জ্বল হয় বাংলাদেশ শিবিরে। কিন্তু শোয়েব মাকসুদের সময়োপযোগী ব্যাটিংয়ে সেটুকু ধীরে ধীরে উবে যেতে শুরু করে।
৯০ বল মোকাবেলায় ৯ চার, ২ ছয়ে শোয়েব শেষ পর্যন্ত ৯৩ রানে অপরাজিত থাকেন। সাথে উমর আকমলের ৪১ বলে ৩৯ আর শহীদ আফ্রিদির ২০ বলে ২৪ রান যোগ করে পাকিস্তান জয় তুলে নেয় ১১ বল হাতে রেখে, ৭ উইকেটের বিনিময়ে। বাংলাদেশের পক্ষে অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা ১০ ওভার বল করে ৫০ রানের বিনিময়ে ২টি ও তাসকিন আহমেদ ৭ ওভারে ৪১ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট লাভ করেন।