• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    কিক অফের আগে: "গার্দিওলা-মরিনহো, সিজন টু"

    কিক অফের আগে: "গার্দিওলা-মরিনহো, সিজন টু"    

    "আমি যদি চাইতাম তবে অন্য দেশের আরেকটি ক্লাবেও কোচিং করাতে পারতাম। অনেক দেশে তো একজন কিটম্যান কোচ বনে গেলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই লিগ জিতে ফেলা যায়" - ২০১৪-১৫ মৌসুমে চেলসিকে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জেতানোর পর কথাগুলো বলেছিলেন মরিনহো। অথচ গার্দিওলা তখন জার্মানিতে, বায়ার্ন মিউনিখের কোচ। তার আগের বেশ ক'বছর তাঁদের মুখোমুখিও হতে হয়নি একে অপরের।

    গার্দিওলা-মরিনহোর লড়াইয়ের “তীব্রতাটা” এ থেকেই অনুমান করে নেওয়া যায়।

    একজন পর্তুগিজ, আরেক জন কাতালান। কোচ-খেলোয়াড় হিসেবে একই ক্লাবে থাকার অতীতও আছে যাদের। এখন তাঁরা বিশ্বেরই নামকরা সেরা ট্যাকটিশিয়ান, মাস্টার মাইন্ড। একে অপরের 'বিষাক্ত' প্রতিপক্ষ!

    প্রিমিয়ার লিগের কোচ হিসেবে ম্যানচেস্টার শহরের দুই ক্লাবের দায়িত্ব নিয়েছেন দু'জন। মৌসুম শুরুর আগে থেকেই সবচেয়ে প্রতীক্ষিত ম্যাচও এই ম্যানচেস্টার ডার্বি। ম্যানচেস্টারের 'নয়েজি নেবাররা' সময়ের সাথে হয়েছে আরও পরিপক্ক। ওদিকে নিজেদের হারিয়ে খুঁজতে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মরিনহো আমলে দেখতে পাচ্ছে সাফল্যের হাতছানি।

    মরিনহো-গার্দিওলার প্রিমিয়ার লিগ লড়াইটা দেখা এখন সময়েরই ব্যাপার। আর কিছুক্ষণের মাঝেই মুখোমুখি হচ্ছে দু'দল। দেশের ফুটবল পাড়ায় ঈদের আমেজটাও যেন এই ম্যাচকে ঘিরেই! আজকের  ৯০ মিনিট তো শুধু আর ম্যানচেস্টার ডার্বিতেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। এর সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, চেলসি...এমনকি ইন্টার মিলানও!

    প্রথম তিন ম্যাচের সবগুলোতেই জয় পেয়েছে দু'দল। শিরোপার বড় দাবিদারও তারাই। তবে এই ম্যাচের আগে পূর্ণ শক্তির দল পাচ্ছেন না গার্দিওলার কপালে চিন্তার ভাঁজটা স্পষ্টই। আগের ম্যাচে প্রতিপক্ষকে কনুই মেরে নিষিদ্ধ হয়েছেন কুন আগুয়েরো। 'গোল মেশিনের' অনুপস্থিতি তো চিন্তারই ব্যাপার।

    আগুয়েরোর জায়গায় দলে জায়গা পেয়ে যেতে পারেন তরুণ ইয়েনাচো। বার্সেলোনা থেকে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেয়া ক্লদিও ব্রাভোর গোলবারের নিচে দায়িত্ব পাওয়াটা অনেকটাই নিশ্চিত। আর ডিফেন্সে ভিন্সেন্ট কোম্পানিকে পাবার মেডিকেল স্টাফদের জন্য শেষ মুহুর্তের সিদ্ধান্তের ওপরই অপেক্ষা করতে হবে গার্দিওলাকে।

    অন্যদিকে মরিনহোর অবস্থাটা তুলনামূলক স্বস্তিকরই। ডার্বির আগে ফিট স্কোয়াডই পাচ্ছেন এই পর্তুগিজ। গার্দিওলাকে ঠেকাতে মিডফিল্ডের ওপর জোর বাড়াবেন মরিনহো- এমন গুঞ্জন সত্যি হলে রুনিকে সাইড বেঞ্চে থেকেই শুরু করতে ম্যাচ।

    প্রিমিয়ার লিগে গার্দিওলার চেয়ে বহুগুণে অভিজ্ঞ এই পর্তুগিজ ম্যানেজার। ইন্টারের হয়ে মাত্র ১৯ শতাংশ বল পজেশন নিয়েও বার্সেলোনাকে হারিয়ে এসেছিলেন যিনি। ন্যু ক্যাম্পে মরিনহোর সেই দৌড়  ফুটবল আর্কাইভে জায়গা করে নিয়েছে বহুদিন আগেই। মরিনহোকে পরের দেখাতেই ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে তার প্রতিশোধটা নিতে ভুল করেননি গার্দিওলা। আজ নতুন যুগের শুরু ম্যানচেস্টার ডার্বিতে। প্রতিশোধের খেলাটাই চলবে? নাকি নতুন দিনের সূচনা দেখবে প্রিমিয়ার লিগ? উত্তর যেটাই হোক, এই দুই ম্যানেজার যে নিজেদের আরও উঁচুতে নিয়ে যাবেন এই ম্যাচ দিয়েই, তাতে বোধ হয় সন্দেহ নেই কারোই।

    লাল শয়তান, নীল চাঁদ...সবকিছু ছাপিয়ে তাই তো পুরো আলোটুকুই কেড়ে নিয়েছেন এই ম্যানেজার।