• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    এক দলে পুরো পৃথিবী!

    এক দলে পুরো পৃথিবী!    

    দুই দিন আগে ওয়েস্ট হামের সঙ্গে ওয়াটফোর্ডের ম্যাচটা হয়তো দেখে থাকতে পারেন। তবে অনেকেই হয়তো খেয়াল করেননি, ওই ম্যাচে ওয়াটফোর্ডের প্রথম একাদশে নয়টি ভিন্ন দেশের ফুটবলার ছিলেন। তবে একই একাদশে ১১টি ভিন্ন দেশের খেলোয়াড় থাকার ঘটনাও আছে।

    এরকমই এক ঘটনা ঘটেছিল ২০০২ সালের ৬ নভেম্বর লিগ কাপে ফুলহামের সাথে বারির খেলার সময়। ফুলহামের একাদশে খেলোয়াড়দের নাম ও তাদের দেশ দেখলে চোখ ছানাবড়া হয়ে যাবার উপায়। দলে খেলেছেন ১১ টি ভিন্ন দেশের খেলোয়াড়! একাদশে ছিলেন মাইক টেইলর (নর্দান আয়ারল্যান্ড), স্টিভেন ফিনান (রিপাবলিক অফ আয়ারল্যান্ড), পিয়েরে ওমে (ক্যামেরুন), অ্যান্ডি মেল্ভিল (ওয়েলস), অ্যাবডেসলাম ওউয়াডু (মরক্কো), বিজারর্ন গোল্ডবিক (ডেনমার্ক), জন কলিন্স (স্কটল্যান্ড), জুয়ানিচি ইনামোতো (জাপান), লি ক্লার্ক (ইংল্যান্ড), ব্যারি হেইলস (জ্যামাইকা) এবং অ্যান্ড্রেজস স্টোকার্স (লাটভিয়া)। প্রথম বদলি খেলোয়াড় হিসাবে মাঠে নামেন ফাকুন্ড সাভা (আর্জেন্টিনা), দ্বিতীয় বদলি ছিলেন মারটিন জেটু (ফ্রান্স)।

    ২০১১ সালের আমেরিকার ফুটবল লিগের নিউইয়র্ক রেড বুলস দলের একাদশেও ছিল একই অবস্থা। একাদশে ছিলেন গ্রেগ সুটন (কানাডা), রয় মিলার (কোষ্টারিকা), টিম রিয়াম (যুক্তরাষ্ট্র), রাফায়েল মার্কুয়েজ (মেক্সিকো), গুনার সল্লি (নরওয়ে), টিমু টাইনিও (ফিনল্যান্ড), মেহদি বাল্লুচি (কলম্বিয়া), জোয়েল লিন্ডপেরে (এস্টোনিয়া), ডেন রিচার্ড (জ্যামাইকা), হুয়ান আগুলেদো (কলম্বিয়া), থিয়েরি অঁরি (ফ্রান্স)। বদলি খেলোয়াড় হিসাবে নামেন টনি চানি (ক্যামেরুন), ড্যানলেই বোরম্যান (দক্ষিণ আফ্রিকা)। এছাড়াও বেঞ্চে বসা অন্য খেলোয়াড়েরা হলেন বউনা কউনডল (সেনেগাল), কার্ল রবিনসন (ওয়েলস), লুক রজারস (ইংল্যান্ড)। এই দলের কোচ ছিলেন হ্যান্স বেক, যিনি আবার সুইডেনের অধিবাসী।

    বর্তমান ইংলিশ লিগের ওয়াটফোর্ড দলে রয়েছেন ১৯ টি ভিন্ন দেশের খেলোয়াড়। ব্রাজিল, উরুগুয়ে, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, জ্যামাইকা, মরক্কো, ইংল্যান্ড, নাইজেরিয়া, সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, নর্দান আয়ারল্যান্ড, আলজেরিয়া, কলম্বিয়া, হল্যান্ড, গ্রিস, বেলজিয়াম, রোমানিয়া, ইতালি, আর্জেন্টিনা - ওয়াটফোর্ডের দলটা যেন জাতিসংঘের ছোটখাট একটা সাধারণ অধিবেশন।

    ইংল্যান্ডের বড় ক্লাবগুলোতেও রয়েছে নানান রঙের পতাকার প্রতিনিধি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ১১ টি ভিন্ন দেশের খেলোয়াড় আছেন বর্তমানে। নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটিতেও ১১ টি ভিন্ন দেশের খেলোয়াড় আছেন। লন্ডনের ক্লাব চেলসিতে খেলছে ১০ টি ভিন্ন ভিন্ন দেশের খেলোয়াড়। একই শহরের আরেক ক্লাব আর্সেনালে খেলছে ১৪ টি দেশের ফুটবলার। লিভারপুলেও  এই সংখ্যা ১৪ টি।

    স্পেনের দলগুলোতে এই সংখ্যা একটু কম। বার্সেলোনাতে খেলছে ১০ টি ভিন্ন দেশের ফুটবলার। রিয়ালেও আছে ১০ টি দেশের খেলোয়াড়। বায়ার্নেও সংখ্যাটা সেই ১০-ই।