কান্না পেয়ে গিয়েছিল পচেত্তিনোর
ছয় বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগে ফেরা। নিজেদের মাঠ হোয়াইট হার্ট লেনে অবশ্য নয়, ৯০ হাজার দর্শকের ওয়েম্বলিতে। আবেগটা তাই আর ধরে রাখতে পারলেন না টটেনহাম কোচ মরিসিও পচেত্তিনো। চ্যাম্পিয়নস লিগের সংগীত শোনার সময় চোখে পানিই এসে গিয়েছিল তাঁর।
২০১০-১১ মৌসুমের পর আবারো চ্যাম্পিয়ন্স লীগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ইংলিশ ক্লাবটি। গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে গত বুধবার ফরাসি ক্লাব মোনাকোর কাছে ২-১ গোলে হেরেছে তারা। তবে এই হারে খেলোয়াড়দের দোষারোপ করতে রাজি নন পচেত্তিনো, “মাঝে মাঝে আপনাকে বাস্তবতাটা বুঝতে হবে। আমরা সেদিন এটা ভালোই বুঝেছি। আমাদের সামনে ৯০ হাজারের বেশি দর্শক ছিল, সমর্থনের কোন কমতি ছিল না।”
প্রায় ছয় বছর পর ইউরোপের সর্বোচ্চ আসরে খেলতে নেমে একটু খেই হারিয়ে ফেলেছিল দলের সবাই, এটাই মনে করছেন পচেত্তিনো , “আমরা ৬ বছর অপেক্ষা করেছি। হয়ত আমরা অতি উত্তেজনাতে নিজেদের সেরাটা দিতে পারিনি। কারও একার দোষ না এটা, সবার দোষ। এমনকি আমিও নিজেকে প্রশ্নের সামনে দাঁড় করাবো।”
এত বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে পেরে আবেগে আপ্লুত হয়ে গিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি, “সেদিন যখন চ্যাম্পিয়নস লিগের গানটা বাজছিল, সত্যিই চোখে পানি এসে গিয়েছিল আমার। এটা স্বপ্ন পূরণের মতোই।”
অনেকেই বলেছেন নিজেদের মাঠে না খেলার জন্যই দলের খেলোয়াড়রা ভালো খেলতে পারেনি। এই ব্যাপারটি মানতে নারাজ পচেত্তিনো , “এটা কোন কথাই না, স্টেডিয়াম কোন সমস্যা না। সমস্যা আমাদের ভিতরেই। নিজেদের ভুল বুঝতে হবে সবাইকে, খেলার শেষের ভাগে আমরা মোনাকোর চেয়ে ভালো খেলেছি। পুরো ম্যাচটা ভালো খেলতে পারলে জয় আসতোই।”