হারের হ্যাটট্রিক ইউনাইটেডের!
হারের বৃত্ত থেকে যেন কিছুতেই বের হতে পারছে না মরিনহোর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এবার ওয়াটফোর্ডের কাছে ৩-১ গোলে হেরে গেছে তারা। এক সপ্তাহে এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচ হারলো ম্যান ইউনাইটেড। আর ২০০৬ সালের পর ম্যানেজার হিসেবে এই প্রথম টানা তিন ম্যাচে হারের মুখ দেখলেন মরিনহো!
ইউরোপা লিগে ফেইনুর্ডের বিপক্ষে হারের ওই দল থেকে বেশ কিছু বদল এনেছিলেন মরিনহো। প্রথম একাদশে রুনি, ইব্রাহিমোভিচ, মারশিয়ালের সাথে ছিলেন র্যাশফোর্ডও। পুরো শক্তির দল নিয়েও ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে লজ্জাজনক হার নিয়েই ফেরত আসতে হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। গত ৩ যুগের ভেতর এবারই প্রথম ইউনাইটেডকে হারাতে পারল ওয়াটফোর্ড।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সমর্থকদের জন্য না হলেও, বেশ উপভোগ্য একটি ম্যাচই দেখেছে প্রিমিয়ার লিগ। ৩৪ মিনিটে ওয়াটফোর্ডকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ফ্রেঞ্চ মিডফিল্ডার এতিয়েন কাপু। প্রিমিয়ার লিগে চার ম্যাচ খেলে কাপুর গোল সংখ্যা এখন চার! প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ১-০ গোলেই।
দ্বিতীয়ার্ধে অনুমিতভাবেই ওয়াটফোর্ডের ওপর চাপ প্রয়োগ করে খেলতে থাকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ৬২ মিনিটে সমতাসূচক গোলটি করেন র্যাশফোর্ড। ইব্রাহিমোভিচের সাথে ওয়ান-টু খেলে বক্সের ভেতর থেকে করা সুইডিশ স্ট্রাইকারের ফিরতি ক্রস ওয়াটফোর্ডের বেহরামির গায়ে বাধা লেগে ফিরে আসলে বল পেয়ে যান র্যাশফোর্ড। সেখান থেকে গোল করে সমতায় ফেরান দলকে।
এরপরও ম্যাচে বজায় ছিল রেড ডেভিলদের আধিপত্যই। ওয়াটফোর্ডের গোলকিপার গোমেজ ইব্রাহিমোভিচের দারুণ এক হেড ঠেকিয়ে দিয়ে গোলবঞ্চিত করেন ইউনাইটেডকে।
৮৩ মিনিটে ওয়াটফোর্ড ম্যানেজার মাজ্জারি কাপুকে উঠিয়ে মাঠে নামিয়ে দেন জুনিগাকে। এই সিদ্ধান্তই আসলে বদলে দেয় খেলার ফল! কলম্বিয়ান মিডফিল্ডার মাঠে নামার ৫৩ সেকেন্ডের মাঝেই গোল করে আনন্দে ভাসান ওয়াটফোর্ড সমর্থকদের। ওই গোলের পর সমতায় ফেরার চেষ্টা করেও লাভ হয়নি ইউনাইটেডের। উল্টো অতিরিক্ত সময়ে জুনিগাকে ফাউল করে ওয়াটফোর্ডকে পেনাল্টি উপহার দেন ফেলাইনি। পেনাল্টি থেকে গোল করে ইউনাইটেডের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন ট্রয় ডিনে।
এই হারে শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে এরই মাঝে ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে গেছে মরিনহোর দল। ৯ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ৬ নম্বরে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।