রুনি ছাড়াই উজ্জ্বল ইউনাইটেড
'আইনস্টাইনদের' কথার জবাবটা মাঠের খেলাতেই দিলেন মরিনহো। আগের সপ্তাহে টানা তিন ম্যাচ হেরে একরকম কোণঠাসাই হয়ে গিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। মাঝ সপ্তাহে লিগ কাপ ম্যাচ জিতে সেখান থেকে ফিরে আসার ইঙ্গিতটা দিয়েই রেখেছিলেন। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লেস্টার সিটিকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে এবার দারুণভাবে জয়ের ধারায় ফিরে এসেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
ইউনাইটেডের দেয়া সবগুলো গোলই এসেছে প্রথমার্ধে। লেস্টার সিটির উপর দিয়ে রীতিমত ঝড় বয়ে যায় প্রথম ৪৫ মিনিট। রুনিকে ছাড়াই এদিন প্রথম একাদশ মাঠে নামান মরিনহো। মাঝমাঠ আর রক্ষণেও আনেন কিছু পরিবর্তন। বিশেষ করে লেফটব্যাক পজিশনে ড্যালে ব্লিন্ডের সংযোজনই লেস্টার সিটির বিপক্ষে ট্রাম্প কার্ড হিসেবে কাজ করেছে মরিনহোর জন্য।
ম্যাচের শুরুতে লেস্টার সিটিকেই আক্রমণভাগে বেশি উজ্জ্বল দেখালেও সময়ের সাথেই নিজেদের ফিরে পায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ব্লিন্ডের করা কর্নার থেকে হেডে গোল করে ২২ মিনিটের মাথায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ম্যাচে এগিয়ে দেন ক্রিস স্মলিং। ৩৭ মিনিটে দেখার মতো এক গোল করে লিড দ্বিগুন করেন হুয়ান মাতা। এরপর ৪০ আর ৪২ মিনিটে দুই গোল করে প্রথমার্ধ শেষের আগেই ইউনাইটেডের তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেন র্যাশফোর্ড ও পগবা।
রেকর্ড গড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেয়ার পর প্রথম কয়েক ম্যাচে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ওল্ড ট্রাফোর্ডের সমর্থকদের মনে যে সংশয়ের সৃষ্টি হচ্ছিল তার অনেকটাই আজ বাষ্পীভূত হয়ে গিয়েছে পগবার পারফরম্যান্সে। এক গোল করার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন ফ্রেঞ্চ এই মিডফিল্ডার। আর ইউনাইটেডের মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণটাও অনেকটাই নিজের কাঁধেই নিয়েছিলেন পগবা।
চার গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রিয়াদ মাহরেজ ও ভার্ডিকে বসিয়ে দেন লেস্টার ম্যানেজার র্যানিয়েরি। বদলী খেলোয়াড় দেমারাই গ্রে এক গোল করে ম্যাচের ব্যবধানটাই কমিয়েছিলেন শুধু। দ্বিতীয়ার্ধের ৪৫ মিনিটেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও আর কোনো গোলের দেখা না পাওয়ায় খেলা শেষ হয় ৪-১ গোলেই।
রুনিকে ছাড়াই দাপুটে জয়ে ইংলিশ অধিনায়কের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলে প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ওঠা প্রশ্নটা আরেকটু ডাল পালা মেলে ধরবার সুযোগই পেল। ম্যাচ শেষের সাত মিনিট আগে মাঠে নামলেও, বাকি ম্যাচগুলোতে নিয়মিত খেলাটা বোধ হয় কিছুটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ল রুনির জন্য।