পাঁচ বছর পর লন্ডন ডার্বি আর্সেনালের
প্রিমিয়ার লিগে গত তিন মৌসুমে এই দলটির বিপক্ষে গোলের দেখাই পায়নি আর্সেনাল। গত পাঁচ লন্ডন ডার্বিও কেটেছে হতাশায়, জয়শুণ্য থেকে। অথচ সেই আর্সেনালই মাত্র ১৪ মিনিটের মাঝেই চেলসির জালে দু'বার বল জড়াল আজ। প্রথমার্থে আরও একবার গোল করে ব্যবধান নিয়ে গেল ৩-০ তে। পরের অর্ধে কোনো দলই আর গোলের দেখা না পেলে তিন গোলের ব্যবধানেই চেলসিকে হারিয়ে লন্ডন ডার্বি জিতে নেয় আর্সেনাল।
ম্যাচে আর্সেনালের আধিপত্য এতোটাই ছিল যে চেলসিকে একটি শট অন টার্গেট পেতে অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ৮৪ মিনিট পর্যন্ত! আসলে শুরু থেকেই আর্সেন ওয়েঙ্গারের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি কন্তের চেলসি। প্রথম গোলটা অবশ্য চেলসির ডিফেন্সের ভুলের কারনেই পেয়ে যায় আর্সেনাল। চেলসি ডিফেন্ডার কেহিল নিজেদের ডিফেন্স লাইন থেকে বল হারান অ্যালেক্সিস সানচেজের কাছে। চিলিয়ান ফরোয়ার্ডও সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আর্সেনালের জার্সিতে নিজের শততম ম্যাচটাকে স্মরণীয় করে রাখেন গোল দিয়েই! ম্যাচের ১১ মিনিটেই আর্সেনালকে এগিয়ে দেন তিনি।
এরমাত্র ২ মিনিট ২১ সেকেন্ডের মাথায়ই সাজানো এক আক্রমণ থেকে গোল করেন থিও ওয়ালকট। বেশ কয়েকটি সুন্দর পাসে মাঝমাঠ থেকে সাজানো আক্রমণটি ছিল একেবারেই 'আর্সেনালিয়' ভঙ্গিমায়! পাঁচবছর পর নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারানোর স্বপ্নে ততোক্ষোনে উন্মত্ত এমিরেটস স্টেডিয়াম!
প্রথমার্ধ শেষের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতেই অবশ্য আর্সেনাল সমর্থকেরা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যান জয় নিয়ে। পাল্টা আক্রমণ থেকে সানচেজের ক্রস থেকে মেসুত ওজিল গোল করে স্বস্তির ৩-০ গোলের লিড এনে দেন গানারদের।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ডিয়েগো কস্তা চেলসিকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। বরং কিছুক্ষণ পরই আবারও নিয়ন্ত্রণ চলে যায় আর্সেনালের হাতেই। কর্তোয়ার বেশ কয়েকটি সেভ বড় ব্যবধানে হারের লজ্জা থেকে বাঁচায় চেলসিকে।
রাতের অন্যান্য খেলায় জয় পেয়েছে লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার সিটি। জেমস মিলনারের জোড়া গোলে লিভারপুল পেয়েছে বড় জয়। অ্যানফিল্ডে হালসিটিকে ৫-১ গোলে হারিয়েছে তারা। আর গার্দিওলার ম্যানসিটি অ্যাওয়ে ম্যাচে সোয়ানসি সিটির বিপক্ষে জয় পেয়েছে ৩-১ গোলে। দুই গোল করেছেন কুন আগুয়েরো।