নজিরবিহীন নিরাপত্তার পর "খুশি" ইংল্যান্ড
সশস্ত্র পুলিশ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর, বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল এবং বিশেষ বাহিনী ঘিরে রেখেছে র্যাডিসন হোটেলের চারপাশ। মনে হতে পারে কোনও দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হয়ত সেখানে অবস্থান করছেন! কিন্তু ব্যাপারটা আসলে তা নয়, এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা কাল রাতে বাংলাদেশে আসা ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের জন্য। আবুধাবি হয়ে হজরত শাহজালাল(রঃ) বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর থেকে হোটল লবিতে পা রাখা পর্যন্ত ‘ভিভিআইপি’ নিরাপত্তা বলয়ের ভিতরেই থেকেছে ইংলিশরা।
বয়সে অনেকটাই তরুণ এই ইংল্যান্ড দল। অভিজ্ঞ মরগান, হেলস নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে আসেননি। সফরে এসেই এরকম পুলিশি পাহারা দেখে একটু হলেও মনসংযোগ নষ্ট হতে পারে খেলোয়াড়দের। এছাড়া ভিসা জটিলতায় আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত বাংলাদেশে আসতে পারছেন না কোচ ট্রেভর বেলিস।
সফর নিয়ে অনিশ্চয়তার কমতি ছিল না। তবে শেষ পর্যন্ত এখানে আসতে পেরে খুশি দলের পরিচালক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস, “আমরা এখানে আসতে পেরে দারুণ খুশি। আমরা খুবই আরাম বোধ করছি, নিরাপত্তা নিয়েও সন্তুষ্ট। অনেক লম্বা যাত্রা ছিল এটা,শারীরিক এবং মানসিকভাবে ধকল গেছে। স্বাভাবিকভাবেই খেলোয়াড়েরা নিরাপত্তার ব্যাপারে চিন্তিত ছিল; কিন্তু দলের নিরাপত্তা প্রধান রেগ ডিকাসন এই ব্যাপারে দারুণ কাজ করেছেন।”
ক্রিকেট নিয়েই ভাবছেন দলের সবাই, সেটাই জানালেন স্ট্রাউস, “যখন তাঁরা বিমানবন্দরে আমার সাথে দেখা করে তখন তাদের পজিটিভ মানসিকতা দেখে সত্যিই ভালো লাগছিল। যখন আপনি মনে মনে কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন তখন ব্যাপারটা অনেক সহজ হয়ে যায়। এখন সবাই সামনের কঠিন ক্রিকেট নিয়েই ভাবছে। শুরুটা করতে সময় লাগবে। মাঠে বেশি সময় কাটানোর ব্যাপারেই ভাবতে হবে, নিজের সামনে আসা বলের ব্যাপারে মনোযোগ দিতে হবে। হোটেল থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত যাত্রাতেই শুধু এরকম সশস্ত্র বাহিনী দেখা যাবে। খেলোয়াড়রা যদি শুধু এই ব্যাপারেই ভাবে, তাহলে তাঁরা উপমহাদেশের সফরের অন্যান্য দিকগুলো দেখতে পাবে না।”
বাংলাদেশের সাথে সিরিজটা সহজ হবে না বলেই ধারণা করছেন সাবেক এই অধিনায়ক, “পৃথিবীর এখন যে অবস্থা, যদি কোথাও যাওয়া নিরাপদ মনে হয় তাহলে আমাদের উচিত এসব দেশকে সাহায্য করা। খেলার দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। আমাদের কয়েকবার হারিয়েছে তাঁরা, এমনকি আমি অধিনায়ক থাকার সময়েও। যত বছর যাচ্ছে, প্রতি সিরিজের পর তাঁরা আরও বেশি শক্তিশালী হচ্ছে। ঘরের মাটিতে তাদের বিপক্ষে খেলাটা আমাদের জন্য কঠিন পরীক্ষাই হবে।”
এই সফরে ইংল্যান্ড দলের প্রথম ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ সোমবার, ফতুল্লায়। প্রথমবারের মতো প্র্যাকটিসের জন্য মাঠে নামার কথা রবিবার।