ইংলিশ ক্রিকেটারদের বিপিএল বর্জনের পরামর্শ ?
আগামী ৪ নভেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চতুর্থ আসর। তবে প্রফেশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (পিসিএ) আসন্ন টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের বিপিএল খেলতে বাংলাদেশে না আসার জন্য উপদেশ দিয়েছে।
এই মুহূর্তে সিরিজ খেলার জন্য বাংলাদেশে এসেছে ইংল্যান্ড। তবে নিরাপত্তার কারণে সফরের ভবিষ্যত একসময় প্রশ্নের মুখে পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তা দলের সবুজ সংকেত পেয়েই বাংলাদেশে এসেছে ইংল্যান্ড। । পিসিএর প্রধান নির্বাহী ডেভিড লেথারডেল ইংল্যান্ড সফরের নিরাপত্তার ব্যাপারে খুশি থাকলেও বিপিএলের সময়ে একই রকম নিরাপত্তা থাকার ব্যাপারে সন্দিহান।
গত মৌসুমেও পিসিএ ইংল্যান্ড খেলোয়াড়দের কাছ থেকে একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর নিয়েছিল। যদি তারা সংস্থার উপদেশের বিরুদ্ধে খেলতে আসে তাহলে নিরাপত্তা বিষয়ক দায়দায়িত্ব নিজেদেরই বহন করতে হবে, এমনটাই লেখা ছিল সেখানে। এর আগেও পারিশ্রমিক এবং দুর্নীতির ব্যাপারে বিশ্বের অন্য লিগগুলোতে খেলার ব্যাপারে খেলোয়াড়দের সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
আসন্ন বিপিএলে রবি বোপারা, টাইমাল মিলস, রিকি ওয়েসেলস, সামিট প্যাটেল, জশুয়া কব ও রিচার্ড গ্লেসনদের খেলার কথা রয়েছে। জেসন রয় এবং সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেনের কাছেও বিপিএলের প্রস্তাব এসেছিল বলে জানা গেছে। তবে গুঞ্জন আছে, নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে দুজনেই বিপিএলে অংশ নেয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
কোনো লিগে খেলার জন্য ইসিবির অনাপত্তিপত্র নিতে হবে খেলোয়াড়দের। তবে ইংল্যান্ড জাতীয় দল যেহেতু বাংলাদেশে খেলতে এসেছে, তাই ধরে নেওয়া যায় আসার ব্যাপারে তারা অনুমতি পাবেন।
ফরেন এবং কমনওয়েলথ অফিস গতবার খেলোয়াড়দের বিপিএলে অংশগ্রহণের ব্যাপারে যেই সতর্কতা জারি করেছিল তা এখনো বদলায়নি বলেই ধারণা পিসিএর। গুলশান হামলার পর ব্যাপারটি আরও বিপজ্জনক হয়ে গেছে বলেই ভাবছেন তারা। ঢাকার বিমানবন্দরও আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা দিতে পারবে না বলে তাদের ধারণা।
খেলোয়াড়দের উপদেশ দিয়ে এই সংস্থার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, “হামলা যে কারোর উপরেই হতে পারে, কিন্তু বিদেশীরাই মূলত সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য হবে।যেসব জায়গায় বিদেশীরা জড়ো হয় সেখানে হামলার আশংকা বেশি। এখানে যাওয়ার ব্যাপারে আপনাকে বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই চলাফেরা করতে হবে।”
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারস অ্যাসোসিয়েশন ফেডারেশনও একই আশংকা করছে। খেলোয়াড়দের নিজেদের দায়িত্ব নিজেদেরকেই নিতে হবে বলে জানাচ্ছে সংস্থাটি, “আন্তর্জাতিক সফরে সরকার থেকে নিরাপত্তার ব্যাপারে বেশি ভাবা হয়। কিন্তু একই নিরাপত্তা বিপিএলে দেয়া হবে কিনা এই ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত নই। যদি কেউ এই ইভেন্টে অংশ নিতে যায় তাহলে তাঁকে মাথায় রাখতে হবে, এখানকার নিরাপত্তার ব্যাপারে তাদের আগেই সতর্ক করা হয়েছিল।”