• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫
  • " />

     

    রাহুর গ্রাসে সোনালি অতীত

    রাহুর গ্রাসে সোনালি অতীত    

    কড়া নাড়ছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। সপ্তাহ দুয়েকও আর বাকি নেই। বিশ্বকাপের মতো আসরে বাংলাদেশ মানে এখনও কেবল ক্রিকেটই! দুনিয়াকে লাল-সবুজের শক্তির জায়গা জানান দেয়ার সুযোগটা যে এখানেই! দেশের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝেও তাই বিশ্বকাপ জ্বরের উত্তাপটা বেশ ভালোভাবেই টের পাওয়া যাচ্ছে। বিশ্বকাপ শুরুর ১০০ দিন আগে থেকে প্যাভিলিয়নের ক্ষণগণনায় পাঠকদেরকে মনে করিয়ে দেয়া হচ্ছে বিগত সব আসরের রোমন্থনীয় স্মৃতিগুলো। ব্যাটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই মাঠে গড়ানোর প্রাক্কালে অংশগ্রহণকারী দলসমূহ নিয়ে  চলছে আমাদের বিশেষ আরেকটি ধারাবাহিক আয়োজন। আজ থাকছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-এর কথা।

     

     

    প্রথম দু’ আসরেই চ্যাম্পিয়ন, তৃতীয় আসরে রানার আপ; স্যার ভিভ রিচার্ডস, ক্লাইভ লয়েড, জোয়েল গার্নারদের অপ্রতিরোধ্য সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ একসময় ক্রিকেটের সমার্থকই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ‘৮৩-এর পর থেকে আর ফাইনালের মুখ না দেখা দলটির নিকট অতীত আর বর্তমান কেবলই হতাশার গল্প শোনায়।

     

     

    সাম্প্রতিক ঘটনাবলীও খুব একটা আশার আলো দেখাচ্ছে না। গেল বছরটা ভালো যায়নি। শেষ চারটি একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজের দুটোয় ড্র, একটিতে পরাজয়। একমাত্র সিরিজ জয়টা এসেছিল দুঃসময়ে পড়া বাংলাদেশের সাথে। তবে গত বছর ক্যারিবিয়ানদের সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ছিল চুক্তি নিয়ে বোর্ডের সাথে খেলোয়াড়দের দ্বন্দ্ব, যেটার ফলশ্রুতিতে অক্টোবরে ভারত সিরিজ মাঝপথে বর্জন করে দেশে চলে যান খেলোয়াড়েরা। এ ঘটনায় ৪২ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ হিসেবে দাবি করে বসে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আর সিরিজ বর্জনে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণেই কিনা কে জানে, বিশ্বকাপ স্কোয়াডে স্থান হয়নি তখনকার অধিনায়ক ডোয়াইন ব্রাভো ও কাইরন পোলার্ডের।

     

     

    প্রধান নির্বাচক ক্লাইভ লয়েড যদিও বলছেন পারফরম্যান্সের কারণেই বাদ পড়েছেন এঁরা, একথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, আসন্ন বিশ্বকাপে হার্ড হিটার এ দুই অলরাউন্ডারের অভাব ঠিকই অনুভব করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওদিকে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সুনিল নারায়ন ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন সেটা ঠিক করতে। শেষ মুহূর্তে তাঁর দলে থেকে অব্যাহতি ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য বড় আঘাতই।

     

     

    অবশ্য যে দলে আছেন ক্রিস গেইলের মত খেলোয়াড়, সে দল কখন কি করে বসে, সেটা পূর্বানুমানের সুযোগ খুব বেশি নেই। গেইলের সাথে স্যামুয়েলস, স্মিথ, স্যামি ও টেইলরের অভিজ্ঞতা যুক্ত হয়ে যদি সেটা পারফরমেন্সে পরিণত হয়, তবে ভালো কিছুর স্বপ্ন ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের অধিবাসীরা দেখতেই পারেন, তবে সেটা অবশ্যই বাস্তবতার বাইরে গিয়ে নয়।