টুইটের জন্য মেয়েদের সঙ্গে অনুশীলনের "শাস্তি"
চেক লিগের স্পার্টা প্রাগ- জব্রোজোভকা ব্রনোর ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের খেলা প্রায় শেষ, ৩-২ গোলে এগিয়ে জয়ের সুবাস পাচ্ছিল স্পার্টা। কিন্তু শেষ বাঁশি বাজার কয়েক সেকেন্ড আগেই সমতা ফেরান ব্রনোর আলিওস হিচকা। যদিও গোলটি তিনি করেছিলেন অফসাইড থেকে। সাইডলাইনে থাকা সহকারী রেফারি লুসি রাতাজোভা ব্যাপারটি এড়িয়ে যান। আর এতেই চটে গিয়ে স্পার্টার গোলকিপার টমাস কুবেক করে বসেন লিঙ্গ বৈষম্যমূলক একটি মন্তব্য। মহিলা রেফারিকে তিনি বলেন, মেয়েদের জায়গা রান্নাঘরেই! তাঁর এই বক্তব্যের সাথে একমত হয়ে সতীর্থ লুকাস ভাচাও ম্যাচের পর লুসির ছবিসহ টুইট করে তাঁকে রান্নাঘরে ফিরে যাওয়ার আহবান জানান। এই ঘটনায় ক্লাবটি দুই ফুটবলারকে শাস্তিস্বরূপ ক্লাবের মহিলা দলের সাথে অনুশীলন করার নির্দেশ দিয়েছে।
২৪ বছর বয়সী কুবেক এবং ২৭ বছর বয়সী ভাচার এই নারীবিদ্বেষী মন্তব্যে খেপেছে ক্লাবটির কর্মকর্তারা। এই ধরনের বক্তব্যের জন্য তাদেরকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “এই দুইজনকে কয়েকদিন ক্লাবের মহিলা দলের সাথে অনুশীলন করতে হবে। এতে তাঁরা দেখবে মেয়েরা রান্নাঘরের বাইরেও নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে।”
ক্লাবের প্রধান নির্বাহী অ্যাডাম কোটালিক এবং চেক ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট মিরোস্লাভ পেলটা এই মন্তব্যকে অগ্রহণযোগ্য হিসাবেই দেখছেন। এদিকে ক্লাবের মহিলা দলের অধিনায়ক ইভা মোকোভাও ব্যাপারটি মেনে নিতে পারেননি, “আমরা তাদের সাথে অনুশীলনের অপেক্ষায় আছি।”
ম্যাচের পরে কুবেক এটাও বলছিলেন , ছেলেদের ম্যাচে মেয়েদের রেফারিং করা উচিত নয়। তবে পরবর্তীতে স্ত্রী- কন্যার সাথে ফেসবুকে ছবি দিয়ে মেয়েদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ভাচাও ক্ষমাপ্রার্থী নিজের মন্তব্যের জন্য, “আসলে মন্তব্যটি একটি নির্দিষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে বলেছিলাম যা ম্যাচের ফলাফলকে প্রভাবিত করেছে। অন্য কোনো মেয়েকে উদ্দেশ্য করে বলিনি।”
তবে এসব বলে হয়ত পার পাচ্ছেন না তাঁরা। চেক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করবে বলেই জানা গেছে।