• ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজ
  • " />

     

    বাংলাদেশকে "সতর্ক" করে দিচ্ছেন মঈন

    বাংলাদেশকে "সতর্ক" করে দিচ্ছেন মঈন    

    ১৪ ও ৩১ কেবল দুটি সংখ্যা নয়। নয় পঞ্জিকার কোনো তারিখও। সংখ্যা দুটির সঙ্গে আদতে সম্পর্ক আছে আবহাওয়ার। যার প্রথমটি লন্ডনের আজকের তাপমাত্রা, দ্বিতীয়টি ঢাকার। সেলসিয়াস স্কেলের সংখ্যা দুটোর ব্যবধান দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন গরমে কেমন নাকাল হতে ইংল্যান্ড দলকে। অবশ্য গতকালের প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের বিপক্ষে ৩০৯ রান তাড়া করে জয় মাঠের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলীর।গত বিশ্বকাপে দুদলের শেষ সাক্ষাতকে মাথায় রেখে যা উচ্চারণ করলেন, তাকে অনায়াসে সাবধানবাণী বলা যায়। মঈন মনে করেন বিশ্বকাপে ১৫ রানে পরাজিত ইংল্যান্ড দলকে মাঠে আশা করলে ভুল করবে বাংলাদেশ। খোলনলচে বদলে ফেলা এক নতুন ইংল্যান্ড চমকে দেবে স্বাগতিকদের।


    দুদেশের সর্বশেষ সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা দুরকম। বাংলাদেশের জন্য যে অভিজ্ঞতার রোমন্থন সুখের, সেটাই ইংল্যান্ডের জন্য দুঃস্বপ্নের। ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সঙ্গে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার পর বেশ একটা ঝাঁকুনি চলে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডে। কোচ হিসেবে দলে এসেছেন ট্রেভর বেলিস, জাতীয় ক্রিকেট পরিচালক হিসেবে সাবেক অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস। টেস্ট ক্রিকেট তো ইংল্যন্ডের শক্তির জায়গা বরাবরই ছিল, এবার আরও বেশি মনোযোগ পেয়েছে সাদা বলের ক্রিকেট। সেটা যে কাজ করেছে তার এক ঝলক দেখা গেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে। ৩ উইকেটে ৪৪৪ রান করে ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে ইংলিশরা। তবে বদল তো বাংলাদেশেরও কম হয়নি। তবে সে বিষয়ে কী ভাবছেন মঈন তা বলেননি। বরং কন্ডিশনকেই বড় প্রতিপক্ষ মানছেন ২৯ বছর বয়সী অলরাউন্ডার, “শুরু থেকে বলছি এটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হবে। কন্ডিশন ও গরম মিলিয়ে এখানে খেলাটা মোটেই সহজ নয়।”  কন্ডিশনের সুবিধা স্বাগতিকরা তো পাবেই। মঈন মনে করেন ইংল্যান্ড দলের ইতিবাচক বদল এতোটাই হয়েছে , বাংলাদেশকেই বরং সতর্ক হতে হবে, “আমাদের দলটা এখন খুবই ভালো। তারা আমাদের হারিয়েছিল সেটা অনেক দিন আগের কথা। সে দলটা থেকে আমরা অনেক আলাদা। সুতরাং, ওদেরই বরং সতর্ক থাকতে হবে।”

    তবে ইংল্যান্ডের জন্য প্রতিপক্ষ তো শুধু বাংলাদেশ নয়, গরমও। কালকের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সময় গরমে নাকাল হয়ে শুশ্রুষা নিতে হয়েছিল লিয়াম প্লাঙ্কেট ও বেন স্টোকসকে। গরমের ধকলটা বোলারদেরই বেশি সইতে হয়। মঈনও সেটি মনে করিয়ে দিচ্ছেন, “এখানে আর্দ্রতা অনেক বেশি। প্রচুর পানি পান করতে হয়।কারও কারও অন্যদের চেয়ে বেশি ক্র্যাম্প হয় এবং আমার আসলে বোলারদের জন্য খারাপই লাগছে।”

    এমন কন্ডিশনে মাত্র একটা প্রস্তুতি ম্যাচ যথেষ্ট কী না তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। মঈন মনে করেন বাংলাদেশের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য সেটাই যথেষ্ট, “একটা প্রস্তুতি ম্যাচ যথেষ্ট। আমাদের জন্য সেটা নিয়েই সন্তুষ্ট হতে হবে। বেশকিছু ভালো প্র্যাকটিস সেশন হয়েছে আমাদের এবং মনে হচ্ছে আমরা প্রস্তুত।”

    কোন দলের কতটা ইতিবাচক বদল হয়েছে সেটা দেখার জন্য মাঠেই চোখ রাখতে হবে দর্শকদের।