"এমন হার মেনে নেওয়া কঠিন"
খুব বেশি দিন নয়, মাত্র মাসছয়েক আগেই ঠিক এই প্রশ্নগুলোই শুনতে হয়েছিল মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। ভারতের সঙ্গে ম্যাচটা হাতের মুঠোয় নিয়েও ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই দিনটাই যেন ফিরে এলো মিরপুরে। জেতার জন্য যখন ৪ উইকেট হাতে রেখে ৫২ বলে ৩৯ রানের সহজ সমীকরণ, অবিশ্বাস্য এক ধসে বাংলাদেশ ম্যাচটা হাতছাড়া করে ফেলল। মাশরাফি স্বীকার করলেন, এরকম পরাজয় হলে সেটি হজম করা কঠিন।
ভারতের সঙ্গে ওই ম্যাচটা অবশ্য আরও সহজ ছিল। তারপরও আজকের পরাজয়ের কোনো সান্ত্বনা হয় না। মাশরাফি ম্যাচ শেষে সেটি স্বীকার করে নিলেন, "আমাদের এই ম্যাচটা জেতা উচিত ছিল। ৫২ বলে আমাদের ৩৯ রান দরকার ছিল। ক্রিজে ছিল সাকিব-ইমরুল। এখান থেকে ম্যাচ হেরে যাওয়াটা খুব হতাশার। আমার মনে হয় আমাদের অন্য কোনো একটা কৌশল নেওয়া উচিত ছিল।"
সাকিব ওই সময় দারুণ খেলছিলেন, বল-ব্যাটের সংযোগ খুব ভালোই হচ্ছিল। কিন্তু মারতে গিয়েই শেষ পর্যন্ত আউট হয়ে গেলেন। এরপর মোসাদ্দেক প্রথম বলেই ফিরে গেলেন। আশার আলো হয়ে থাকা ইমরুলও বেশিক্ষণ আর থাকতে পারলেন না। নির্দিষ্ট কারও নাম না উল্লেখ করেই মাশরফি বললেন, আরেকটু ধরে খেলতে পারতেন ব্যাটসম্যানরা, "হয়ত আমরা আরেকটু আস্তে ধীরে খেলে শেষ দুই ওভারের জন্য ১৫-১৬ রান লাগব- এই অবস্থায় ম্যাচ নিতে যেতে পারতাম।" কিন্তু কারও ওপর দোষ চাপাচ্ছেন না, "আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না, কারণ এই ব্যাপার আগেও হয়েছে। এখান থেকে আমাদের ফিরে আসতে হবে। দলের সবাই খুব আপসেট হয়ে আছে।"
কিন্তু ঠিক কী কারণে বাংলাদেশের ব্যাটিং এমন হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল? মাশরাফি নিজেই যেন কিছুটা অসহায়, "কী হয়েছে সেটার ব্যাখ্যা করা খুব কঠিন। আস্কিং রেট যদি ওভারে ৫-৬ থাকত, তাহলে নতুন পাওয়ার প্লেতে শেষ দশ ওভারে সেটা বেশি সহজ।। সিঙ্গেল বাঁচানোর জন্য ওদের বৃত্তের ভেতর একজন অতিরিক্ত ফিল্ডার রেখেছিল। তারপরও বলতে হবে আমরা খুব বাজে শট খেলেছি।"
একটা সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে, সেটাও স্বীকার করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, "৩০৯ তাড়া করে জিতলে সেটা দলের জন্য মানসিকভাবে অনেক বড় একটা আশির্বাদ হতো। কিন্তু আমরা সুযোগটা কাজে লাগাতে পারিনি। হার হারই, কিন্তু এরকম হার হলে মেনে নেওয়া কঠিন। "“