• ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজ
  • " />

     

    সাব্বিরকে টিম ম্যানেজমেন্টের "সতর্কবাণী"

    সাব্বিরকে টিম ম্যানেজমেন্টের "সতর্কবাণী"    

    রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে একই সমতলে নেমে আসলেন সাব্বির রহমান! ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে উদ্দাম উদযাপনের কারণে ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ  জরিমানা দিয়ে নামের নিচে আইসিসির লাল দাগ দেখেছেন সাব্বির। মাঠে অসদাচরণের কারণে পেয়েছেন জাদেজার সমান তিনটি পয়েন্ট। পৌঁছেছেন এক বিপদজনক বাঁকে, যেখানে ঝুলছে নিষেধাজ্ঞার খড়গ। ব্যাপারটা ভালো চোখে দেখছে না বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ বলেছেন ভবিষ্যতে মাঠে সংযত আচরণ করার জন্য সতর্ক করে দেয়া হয়েছে সাব্বির রহমানকে।

    মাত্রই গত মাসের ২২ তারিখ চালু হয়েছে আইসিসির নতুন আচরণবিধি। এর মধ্যেই তা দুবার ভেঙ্গেছেন সাব্বির। প্রথমটি আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে। আম্পায়ার শরফুদ্দৌলার দেওয়া এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত পছন্দ না হওয়ার তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়ান। এর ফলে নতুন আচরন বিধি অনুযায়ী দুটি পয়েন্ট যুক্ত হয় সাব্বিরের খাতায়। এরপর রবিবারের ম্যাচে ২০ শতাংশ জরিমানার সঙ্গে যোগ হয়েছে আরো একটি পয়েন্ট। এই তিন্ পয়েন্টের সঙ্গে আর এক পয়েন্ট যোগ হলেই সাব্বিরের সংগ্রহ হবে দুটি সাসপেনশন পয়েন্ট। ফলে একটি টেস্ট কিংবা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির সমন্বয়ে জুটবে নিষেধাজ্ঞা।

    ব্যাপারটা শেষ হয়ে যাবে না তাতেই। আইসিসির শ্যেন দৃষ্টি আগামী দুই বছর নিরীক্ষণ করবে সাব্বিরকে। উল্টোপাল্টা কিছু করলেই আবারও পেতে হবে শাস্তি। আগের আচরণবিধিতে ব্যাপারটা এমন ছিল না। অসদাচরণের জন্য শাস্তি হলে সেটা ভোগের সাথে সাথে সেখানেই চুকে যেত ব্যাপারটা। কিন্তু নতুন আচরণবিধি অনুযায়ী খেলোয়াড়দের অতীতের শৃঙ্খলাভঙ্গও খুঁটিয়ে দেখা হবে। সেজন্যই রাখা হয়েছে পয়েন্টের ব্যবস্থা।

    দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে এমন ঝুঁকির মুখে দেখে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ বলেছেন,”নিষেধাজ্ঞার যে ঝুঁকির মধ্যে সে আছে সেটা নিয়ে ওর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। সে জানে সে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে।” সাব্বিরের জন্য কিছু উপদেশও আছে মাহমুদের কাছে, “গত ম্যাচে যা হলো তার পর আমার মতামত হলো  সে যেন উদযাপনটা একটু সংযত হয়ে করে। শেষবারের মতো যেন না হয়।” তাহলে কী প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানের বিদায়ে উদযাপন করবেন না সাব্বির? মাহমুদ অবশ্য সেটা বলছেন না, “অবশ্যই সে উদযাপন করতে পারবে। কিন্তু একটা যথাযথ সীমার মধ্যে।”

    নতুন আচরণবিধি পছন্দই হয়েছে বাংলাদেশের ম্যানেজারের। এর ইতিবাচক দিকটা তুলে ধরে তিনি বলেছেন, “আমার মনে হয় নতুন আচরণবিধি খেলোয়াড়দের সাহায্য করবে। নেতিবাচক পয়েন্টের কারণে তারা বুঝতে পারবে নিজেদের অবস্থান। আগে দুবার আচরণবিধি ভাঙলে শাস্তি পেতে হত। এবার তারা তৃতীয় সুযোগও পাচ্ছে।” সূত্র: ক্রিকইনফো।