সময় স্বপ্নপূরণের?
কড়া নাড়ছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। সপ্তাহ দুয়েকও আর বাকি নেই। বিশ্বকাপের মতো আসরে বাংলাদেশ মানে এখনও কেবল ক্রিকেটই! দুনিয়াকে লাল-সবুজের শক্তির জায়গা জানান দেয়ার সুযোগটা যে এখানেই! দেশের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝেও তাই বিশ্বকাপ জ্বরের উত্তাপটা বেশ ভালোভাবেই টের পাওয়া যাচ্ছে। বিশ্বকাপ শুরুর ১০০ দিন আগে থেকে প্যাভিলিয়নের ক্ষণগণনায় পাঠকদেরকে মনে করিয়ে দেয়া হচ্ছে বিগত সব আসরের রোমন্থনীয় স্মৃতিগুলো। ব্যাটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই মাঠে গড়ানোর প্রাক্কালে অংশগ্রহণকারী দলসমূহ নিয়ে চলছে আমাদের বিশেষ আরেকটি ধারাবাহিক আয়োজন। আজ থাকছে নিউজিল্যান্ড-এর কথা।
সাবেক কিউই কিংবদন্তীদের অনেকের মতেই নিউজিল্যান্ডের এবারের বিশ্বকাপ স্কোয়াডটাই এ যাবতকালের সবচেয়ে সেরা। স্টিফেন ফ্লেমিং তো অতো কথার প্যাঁচে না গিয়ে সরাসরিই বলে দিলেন যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনালই খেলবে ম্যাককালামরা! সাম্প্রতিক ফর্ম আর ছন্দ যদি বিশ্বকাপের মাঠেও সুর ধরে রাখে তবে এমন আশায় আপত্তি তোলার কোন সুযোগ নেই।
২০১৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের কাছে দ্বিতীয়বারের মত হোয়াইট-ওয়াশ হওয়ার পর পুরো দলটাই যেন আমূল বদলে গেছে। সিরিজ জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত ও পাকিস্তানের সাথে। গত বছর একমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকা বাদে সিরিজ হারেনি আর কারও সাথেই, না টেস্ট না ওয়ানডে। নিজেদের মাটিতে সম্প্রতি টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জিতল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও।
দলে ফিরেছেন বহু বছরের অভিজ্ঞ যোদ্ধা ড্যানিয়েল ভেটোরি। কেন উইলিয়ামসন, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, রস টেইলররা তো আছেনই, ব্যাটিংয়ে এছাড়াও নজর কাড়তে পারেন টম লাথাম, কোরি অ্যান্ডারসনদের মত তরুণ তুর্কিরা। বোলিং লাইন-আপে নেতৃত্ব দেবেন কাইল মিলস ও টিম সাউদি, এ ছাড়াও আছেন ট্রেন্ট বোল্ট, অ্যাডাম মিলনে ও মিচেল ম্যাকক্লেনাঘান। স্পিন আক্রমণে ভেটোরির সাথে আছেন নাথান ম্যাককালাম।
ছয় ছয়বার শেষ চারে পৌঁছেও ফাইনালের মুখ দেখা হয় নি। ঘরের মাঠের মঞ্চটা এবার বুঝি ব্ল্যাকক্যাপদের বিজয়ীর বেশে বরণ করে নেবার প্রস্তুতি নিচ্ছে! স্বপ্ন সত্যি হবে কিনা সে প্রশ্নের জবাব সময়ের কাছেই থাক!