• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    হাঙ্গামা করলেই বহিষ্কার

    হাঙ্গামা করলেই বহিষ্কার    

     

    দাঙ্গাবাজ সমর্থকরা সাবধান!  লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যাচে কোনো ঝামেলা পাকিয়েছেন তো খেতে হবে অর্ধচন্দ্র। জুটতে পারে লাল দালানের ভাতও। সোমবার এনফিল্ডে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর দ্বৈরথের আগে সমর্থকদের এমনই সতর্কবার্তা দিয়েছে ক্লাব দুটি।  

    অতীতের অভিজ্ঞতা সুবিধার নয়। একে অপরের মুখোমুখি হলে হল্লাবাজ সমর্থকরাও ভব্যতা ভুলে ঝঁপিয়ে পড়েছে একে অন্যের ওপর। গত মৌসুমেই ইউরোপা লিগের শেষ ১৬ এর ম্যাচে ঘটছে বিশ্রী ঘটনা। ওল্ড ট্রাফোর্ডে মুখোমুখি হয় দুই দল। তখন সমর্থকরা একে অন্যের উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে দেয় কুৎসিত গালাগালি, আতশবাজি এবং এমনকি হাতের কাছে যা পাওয়া গেছে তা-ই। ফলাফল উয়েফা প্রায় ২৮ লাখ টাকা জরিমানা করে লিভারপুলকে। যার অর্ধেক অবশ্য পরে স্থগিত করা হয়।

    সমর্থকদের একই কাজের জন্য সম পরিমাণ অর্থ জরিমানা করা হয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকেও। গেল শতকের আশির দশক ছিল ইংল্যান্ডের ফুটবল সমর্থকদের সহিংসতার জন্য সবচেয়ে কুখ্যাত সময়। ১৯৮৯ সালে ইংল্যান্ডের হিলসবরো স্টেডিয়ামে লিভারপুল ও নটিংহ্যাম ফরেস্ট ম্যাচে পদদলিত হয়ে মারা যান ৮৯ জন দর্শক। ১৯৮৫ সালে ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনালে ব্রাসেলসের হেইসেল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় লিভারপুল ও জুভেন্টাস। খেলা চলাকালে দুদলের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণ হারান ৩৯ জন দর্শক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে ইদানিং এমন সহিংসতা কমে গেলেও একেবারে বন্ধ হয়ে যায় নি। তার প্রমাণ, গত ইউরোতেই ইংল্যান্ড ও রাশিয়ার সমর্থকরা পরস্পরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। স্টেডিয়ামের সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে মাঠের বাইরেও।

    এসব বিবেচনায় নিয়েই এবার সতর্ক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও লিভারপুল। এক যৌথ ঘোষণায় ক্লাব দুটি বলেছে, “আমাদের সমর্থকদের মধ্যে বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। সকল সমর্থকদের প্রতি আমাদের আহ্বান পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং খেলাটি থেকে সকল প্রকার আক্রমণাত্মক ও বৈষম্যমূলক আচরণের মূলোৎপাটনে সহায়তা করুন।”

    ফুটবলে সমতা ও সহিংসতা ও বৈষম্যবিরোধী সংগঠন ‘কিক ইট আউট’ ক্লাব দুটির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে।