লিভারপুল-ম্যান ইউনাইটেডের পয়েন্ট ভাগাভাগি
ম্যাচ শেষে বোধ হয় জিততে না পারার আফসোসটা বেশি পুড়িয়েছে লিভারপুল ম্যানেজার ক্লপকে। এই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট বাগিয়ে নেয়া গেলে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানটাও যে থাকত লিভারপুলের কাছেই। সেই তুলনায় গোলশূন্য ড্র- নিয়ে অ্যানফিল্ড ছাড়তে পারায় তুলনামূলক খুশিই দেখাল মরিনহোকে।
লিভারপুল-ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ম্যাচকে ঘিরে উত্তেজনাটা ছিল বরাবরের মতো আকাশ্চুম্বীই। তবে মাঠের খেলায় তার ছিটেফোটা কমই দেখেছে দর্শকেরা। এই দু'দলের গত ৩৩ ম্যাচের মাঝে এই নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো গোলশূন্য ড্র হল। তাতে লিভারপুল সমর্থকদের আফসোসটা একটু বেশি হবার কারন থাকলেও সেভাবে ঝুঁকি নিয়ে খেলেনি কোনো দলই। তাই ম্যাচ শেষের স্কোরলাইনটাকে একেবারে বেমানানও বলা চলে না!
বল পজেশন থেকে শুরু করে পাসিং রেট- সবকিছুতেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চেয়ে এগিয়ে ছিল লিভারপুলই। ম্যাচে গোলের সেরা সুযোগটাও আসে তাঁদের কাছেই। ম্যাচের ৭১ মিনিটে ডিবক্সের বেশ বাইরে থেকে নেয়া কুতিনহোর শট দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে ঠেকিয়ে দেন ডি গিয়া। নিশ্চিত গোল ঠেকিয়ে দিয়ে এই ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারায় মরিনহোর কাছে আলাদা করে ধন্যবাদটা পেতেই পারেন স্প্যানিশ এই গোলরক্ষক।
এদিনও প্রথম একাদশে জায়গা হয়নি ওয়েইন রুনির। ইউনাইটেড অধিনায়ককে মরিনহো মাঠে নামান ৭৭ মিনিটে। ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারায় মরিনহোকে খুশি মনে হলেও সাথে এক লজ্জার রেকর্ডও কিন্তু গায়ে সেঁটে গেছে পর্তুগিজ ম্যানেজারের। নিজেদের প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি কম বলে পজেশন নিয়ে ম্যাচটা শেষ করেছে রেড ডেভিলরা। মাত্র ৩৪ শতাংশ বল পজেশন ছিল আজ লিভারপুলের বিপক্ষে। শেষ চার দেখায় লিভারপুলের বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নেয়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য এমন খেলা হতাশাজনকই!
প্রথমার্থে তেমন কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি কোনো দল। ম্যাচের প্রথম এক ঘন্টায় ইব্রাহিমোভিচ অবশ্য গোলের হাফ চান্স তৈরি করেছিলেন। তবে পল পগবার বাঁকানো ক্রস সুইডিশ স্ট্রাইকার হেড করেন লিভারপুলের গোলবারের বেশ বাইরে দিয়েই। অন্যদিকে রেড ডেভিলদের গোলবারের নিচে এদিনও অতন্দ্র প্রহরী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ডি গিয়া। কুতিনহোর ওই শট ঠেকানোর মিনিট দশেক আগে এমরে চানের করা এক শটও ঠেকিয়ে দেন ইউনাইটেড নাম্বার ওয়ান।
এই ড্র-এর পর ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আছে সাত নম্বরে। অন্যদিকে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে লিভারপুলের অবস্থান চারে।