• ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজ
  • " />

     

    "ওয়ানডেতে ফেবারিট হয়েও হেরেছি"

    "ওয়ানডেতে ফেবারিট হয়েও হেরেছি"    

    সাদা পোশাক গায়ে চাপানোর ১৬ বছরে এমনটা কখনো ঘটতে দেখেনি বাংলাদেশ। ১৪ মাসের দীর্ঘ বিরতির পর কাল চট্টগ্রামে আবারও টেস্ট ক্রিকেটে ফিরছে মুশফিকুর রহিমের দল। এক বছরেরও বেশি সময় পর আবারও উইকেটের পেছন থেকে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন মুশফিক। দীর্ঘ বিরতির পর সামনে প্রবল প্রতিপক্ষ,  রণভূমিতে ইংল্যান্ডকে ফেবারিট মানলেও নিজেদেরকেও পিছিয়ে রাখছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক।

    সর্বশেষ পাঁচ বছরে উপমহাদেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্স তাদের নিরঙ্কুশ ফেবারিট ঘোষণা করছে। ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ ইংলিশরা ১-১ ড্র করলেও সে বছরই ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। কাল শুরু হতে যাওয়া সিরিজের ফেবারিট বেছে নিতে তাই দ্বিধা নেই বাংলাদেশ অধিনায়কের।

    অবশ্যই ইংল্যান্ড দল এগিয়ে। গত কয়েক বছরে দেশ ও দেশের বাইরে যেভাবে খেলেছে তাতে ওরাই পরিষ্কার ফেবারিট।
     

    তবে ফেবারিট হওয়াটাই শেষ কথা নয়। এখানে একটা কিন্তুও রেখেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, “ওয়ানডে সিরিজে আমরাই ফেবারিট ছিলাম কিন্তু হেরেছি।” ভালো করার একটা সূত্রও দিয়েছেন তিনি, “সেশন বাই সেশন ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলতে হবে। সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”

    সর্বশেষ পাঁচ টেস্টের তিনটিতে টস জিতেছিলেন মুশফিক। সে পাঁচ টেস্টের চারটিতেই ড্র করেছিল বাংলাদেশ। টসের গুরুত্বটা তাই মানছেন অধিনায়ক , “টস অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। যত আগে ব্যাট করা যাবে তত ভালো। প্রথম ইনিংসে যদি আমরা তিনশোর বেশি রান করতে পারি, সেটা আমাদের জন্য হবে অনেক বড় কিছু।”

    বড় রানের জন্য অধিনায়ক চোখ রাখছেন টপ অর্ডারের দিকে। আশার কথা তাঁদের সবাই আছেন ছন্দে। মুশফিক তাই প্রত্যাশার কথা বলতে গিয়ে নিলেন সতীর্থদের নাম, “ইমরুল, সাকিব, তামিম বা রিয়াদ ভাই কিংবা মুমিনুল সবাই ফর্মে আছে। অবশ্যই তাদের দিকে তাকিয়ে আছি। আশা করি, ওরা ভালো খেলবে।”

    ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩৪ টেস্ট খেলতে কাল মাঠে নামবেন অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক। বাংলাদেশের মাটিতে দুই টেস্টে দুটি সেঞ্চুরিসহ ৩৪২ রান করা ইংল্যান্ড অধিনায়ক উপলক্ষ্যটাকে স্মরণীয় করতে সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করবেন। কিন্তু বাংলাদেশ চাইবে সাদা পোশাকে শক্তিমান ইংলিশদের আটকে দিতে। জয়-পরাজয়ের দিকে না তাকিয়ে মুশফিক তাই নিশ্চয়তা দিলেন কঠিন লড়াইয়ের, “ আমরা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে মুখিয়ে আছি। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। আশা করি, আমরা কঠিন লড়াই করতে পারব।”

    ১৪ মাস পর অধিনায়কত্ব পাওয়া মুশফিকের কথাটা মাঠে অনূদিত হতে দেখলেই নিশ্চিন্ত হবে বাংলাদেশ।