প্রত্যাশা পঞ্চমের
কড়া নাড়ছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। সপ্তাহ দুয়েকও আর বাকি নেই। বিশ্বকাপের মতো আসরে বাংলাদেশ মানে এখনও কেবল ক্রিকেটই! দুনিয়াকে লাল-সবুজের শক্তির জায়গা জানান দেয়ার সুযোগটা যে এখানেই! দেশের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝেও তাই বিশ্বকাপ জ্বরের উত্তাপটা বেশ ভালোভাবেই টের পাওয়া যাচ্ছে। বিশ্বকাপ শুরুর ১০০ দিন আগে থেকে প্যাভিলিয়নের ক্ষণগণনায় পাঠকদেরকে মনে করিয়ে দেয়া হচ্ছে বিগত সব আসরের রোমন্থনীয় স্মৃতিগুলো। ব্যাটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই মাঠে গড়ানোর প্রাক্কালে অংশগ্রহণকারী দলসমূহ নিয়ে চলছে আমাদের বিশেষ আরেকটি ধারাবাহিক আয়োজন। আজ থাকছে অস্ট্রেলিয়ার কথা।
‘৯০ এর দশকের মাঝামাঝি থেকে ক্রিকেটে শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ার জয় জয়কার। টানা ৪টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে তারা ঘরে তোলে ৩টি বিশ্বকাপ শিরোপা, মাঝে কেবল গত আসরেই ছন্দপতন। একাদশ ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রধান ভেন্যুই যখন ক্যাঙ্গারুর দেশ, তখন অসিদের পঞ্চম শিরোপার পক্ষে বাজি ধরার লোকের অভাব হচ্ছে না।
গত এক বছরে ২৩টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১৮টিতে জয়... দুর্দান্ত ফর্মে থাকা টিম অস্ট্রেলিয়া হারের মুখ দেখে নি সর্বশেষ আট ম্যাচে।
বোলিংটাই সবচেয়ে শক্তিশালী জায়গা হলেও ব্যাটিংয়েও দারুণ ভারসাম্য রয়েছে বর্তমান দলটায়। মাইকেল ক্লার্ক, স্টিভেন স্মিথ, শেন ওয়াটসন, ব্র্যাড হাডিনদের বিশ্বকাপ অভিজ্ঞতা রয়েছে। ডেভিড ওয়ার্নার আর অ্যারন ফিঞ্চের উদ্বোধনি জুটি বড় সংগ্রহের ভিত্তি গড়ে দেবে। অল-রাউন্ডার মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, জেমস ফকনারদের দৌলতে ব্যাটিং লাইন আপটা বেশ লম্বাই হচ্ছে।
মিচেল জনসন, স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, জশ হেজেলউডদের পেস আক্রমণের সামর্থ্য-সম্ভাবনা নতুন করে বয়ানের কিছু নেই। দুর্বলতার নাম হতে পারে ঘূর্ণি বল। লেফট আর্মার জাভিয়ের ডোহার্টি ছাড়া দলে নেই কোন স্বীকৃত স্পিনার। গতিময় বাউন্সি উইকেটগুলোতে সেটা কোন দুর্বলতার নাম হবে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
মাইকেল ক্লার্ক ১৫ জনের দলে থাকলেও তিনি ইনজুরি থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেননি। সর্বশেষ খবর বলছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শনিবারের উদ্বোধনি ম্যাচে তাঁর মাঠে নামা হচ্ছে না।
ফর্ম, কনফিডেন্স, কেমিস্ট্রি... শিরোপার সম্ভাব্য দাবীদারদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার উপরে কাউকে জায়গা দেয়াটা কঠিনই। নিতান্তই বাজে দিন না এলে ২৯ মার্চের মেলবোর্ন মঞ্চে অসি উৎসবটা প্রত্যাশিতই।