"ফিফটি করতে এত কষ্ট কখনো হয়নি"
এক বার দুই বার নয়, পাঁচ পাঁচ পেয়েছেন জীবন। তিনবার এলবিডব্লু হয়েছিলেন, নিজে রিভিউ নিয়ে পার পেয়ে গেছেন। আর দুই বার বাংলাদেশ রিভিউ নিয়েও তাঁকে আউট করতে পারেনি। আর একবার আম্পায়ার আউট দেননি, বাংলাদেশও রিভিউ নেয়নি। নিলে আউট হয়ে যেতেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য মঈন আলী আউট হয়েছেন ৬৮ রানে। তবে ম্যাচ শেষে স্বীকার করেছেন, আর কোনো ফিফটি করতে এত বেশি বেগ পেতে হয়নি।
মঈন যখন নেমেছিলেন, ২১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে ইংল্যান্ড। এর পর জো রুটকে নিয়ে দলকে টেনে তুলেছেন, পরে বেইরস্টো হয়েছেন সঙ্গী। এশিয়াতে এটাই মঈন আলীর সর্বোচ্চ স্কোর। তবে সেটি করতে যে ঘাম ছুটে গেছে, সেটাও জানিয়েছেন ম্যাচ শেষে," খুবই কঠিন ছিল কাজটা। আমার করা সবচেয়ে কঠিন ৬০। ওরা খুব ভালো বল করেছে। একদম জায়গামতো ফেলেছে। আর শুধু টিকে থাকলে তো হবে না, রানও করতে হবে। এই কাজটা আসলেই কঠিন।"
বার বার রিভিউ বেঁচে গেছেন। তবে তাতে কতটা মানসিক লড়াই চালিয়ে যেতে হয়েছে সেটা জানিয়েছেন পরে, "রান নিতে অনেক কষ্ট হয়েছে। মানসিকভাবে অনেক কঠিন ছিল কাজটা, বিশেষ করে রিভিউর পর। আমি বল মিস করছিলাম, আর ওরা আমার প্যাডে বল লাগিয়েই যাচ্ছিল। ভালো একটা মনস্তাত্বিক লড়াইও হয়ে গেছে।"
এক কুমার ধর্মসেনাই তিন বার আউট হয়েছেন তাঁকে। সেটা নিয়েও রসিকতা করেছেন মঈন, "আম্পায়ারদের জন্য কাজটা সহজ ছিল না, কিন্তু তাই বলে আমাকে তিন বার আউট দেবে! আমি জানতাম একবার বল আমার গ্লাভসে বা ব্যাটে লেগেছে। অন্য দুই বার জো রুট আমাকে বাঁচিয়েছে।"
তরুণ মেহেদী হাসান মিরাজ আজ যথেষ্ট ভুগিয়েছেন ইংলিশদের। মঈন আলাদা করে তাঁর প্রশংসাও করলেন, "আমি ভেবেছিলাম, ওরা স্পিনার দিয়ে ওপেন করবে, কিন্তু এতোটা টার্ন পাবে ভাবিনি। নতুন ছেলেটা খুব ভালো বল করেছে, অবশ্যই বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ও অনেক বড় একটা সম্পদ।