ইংল্যান্ডকে পেলেই অন্য তামিম
ব্যাট হাতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে সাফল্য, প্রিয় প্রতিপক্ষের কথা উঠলে খুব একটা ভাবতে হবে না তামিম ইকবালকে। ইংলিশ বোলারদের পেয়ে আবারও জ্বলে উঠেছেন বাংলাদেশি ওপেনার। গ্যারেথ বেটির ১১তম টেস্ট উইকেটে পরিণত হওয়ার আগে ৭৮ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেছেন তামিম। বাংলাদেশের মিডল অর্ডারও তাঁকে দিয়েছে যোগ্য সঙ্গ। তামিম-মাহমুদুল্লাহ-মুশফিক ও সাকিবের দারুণ ব্যাটিংয়ে ২২১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের চেয়ে এখনও পিছিয়ে ৭২ রানে, দিনশেষে মুশফিকুর রহিমের উইকেটটি না হারালে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ থাকত বাংলাদেশের হাতেই।
টেস্ট গড় যেখানে ৩৯.৯৫ সেখানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তামিম ইকবালের গড় ৬৪.৭৭। পাঁচ টেস্টে নয় ইনিংস খেলে করেছেন ৫৮৩ রান। দুই সেঞ্চুরির পাশাপাশি আছে পাঁচটি ফিফটিও। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজে চট্টগ্রামে ৮৬ ও ১৪ এবং ঢাকায় ৮৫ ও ৫২ করেছিলেন তামিম। সে বছরই ইংল্যান্ড সফরে লর্ডসে ৫৫ ও ১০৩ এবং ম্যানচেস্টারে ১০৮ ও ২ রান করে ইংলিশ সংবাদমাধ্যমেরও নজর কেড়েছিলেন তিনি। প্রিয় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ফর্মের ধারাবাহিকতাটা বজায় রাখলেন আজ ঘরের মাঠেও। ১৭৯ বলে ৭৮ রান করার পথে মেরেছেন ৭টি চার।
অবশ্য ব্যক্তিগত ২৮ রানেই তামিমকে ফিরিয়ে দেয়ার সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। মঈন আলীর বলে ক্যাচ তুলে দিলেও সেটা ধরতে পারেননি পয়েন্টে দাঁড়ানো আদিল রশিদ। ৫৪ রানে একবার অবশ্য আউটই হয়ে গিয়েছিলেন মঈন আলীর বলে। কিন্তু আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনাকে ম্যাচে চতুর্থবারের মতো ভুল প্রমাণ করে তামিম ইকবালের নেয়া রিভিউ। শেষ পর্যন্ত যখন গ্যারেথ ব্যাটির বলে আউট হন, ততক্ষণে গড়েছেন মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৯০ ও মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৪৪ রানের জুটি।
বড় ইনিংস খেলার সম্ভাবনা জাগিয়েও পারেননি মাহমুদউল্লাহ। চা বিরতির ঠিক আগের ওভারে আদিল রশিদের একমাত্র উইকেটে পরিণত হওয়ার আগে ৩৮ রান করেছেন এই অলরাউন্ডার।
তামিমের পর বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে বড় দিক মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের ব্যাটিং। দুজনের মধ্যে ৫৮ রানের জুটি গড়ে ওঠার পর যে মুহূর্তে মনে হচ্ছিল রাতের ঘুমটা ভালোই হবে বাংলাদেশের, ঠিক তখনই বেন স্টোকসের বলে জনি বেইরস্টোকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মুশফিক। মাত্র ২ রানের জন্য টেস্ট ক্যারিয়ারের ষোড়শ ফিফটি করতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। তবে সাকিব অপরাজিত আছেন ৩১ রান করে। শুন্য রান নিয়ে তাঁর সঙ্গী নাইটওয়াচম্যান শফিউল ইসলাম।