বাংলাদেশ কি পারবে নিউজিল্যান্ড হতে?
৪৫ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা সুখকর ছিল না ইংল্যান্ডের জন্য। ৬২ রানেই যে ইংলিশরা হারিয়ে বসেছিল ৫ উইকেট! প্রথম ইনিংসের শেষভাগে বাংলাদেশের ব্যাটিং ধ্বসের পরও দিনটা তাই বাংলাদেশের হওয়ারই ইঙ্গিত দিচ্ছিল, বল হাতে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়ে সেটা করছিলেন সাকিব। কিন্তু বাধ সাধলেন স্টোকস, বেয়ারস্টোকে সঙ্গী করে সাকিবদের মুঠো থেকেই একরকম ম্যাচটা বের করে নিয়ে গেলেন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে। এই জুটির ১২৭ রানে ইংল্যান্ড উঠে যায় যথেষ্টই নিরাপদ উচ্চতায়। দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ২২৮ রান নিয়ে ইংল্যান্ড এগিয়ে আছে ২৭৩ রানে।
প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে ২২১ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরুর পর আজ মাত্র ২৭ রান যোগ করেই বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে শেষ ৫ উইকেট। চালকের আসনে থাকা ইংল্যান্ডকে বল হাতে এরপর নাড়িয়ে দেন সাকিব-মিরাজ। ইংলিশরা লাঞ্চে যায় ৩ উইকেটে ২৮ রান নিয়ে। বিরতির পরও অব্যাহত থাকে আঘাত। ব্যালেন্সকে তাইজুল ইমরুলের ক্যাচ বানিয়ে ফেরানোর পর মঈন আলীকে সাকিবের বলে উইকেটের পিছনে দারুণ মুন্সিয়ানায় গ্লাভসবন্দী করেন মুশফিক। সাকিব নেন ক্যারিয়ারে ১৫তম বারের মতো টেস্টের এক ইনিংসে ৫ উইকেট।
এ পর্যন্ত গল্পটা বাংলাদেশেরই ছিল। কিন্তু দিনের বাকি সময়টা মূলত বেন স্টোকস আর জনি বেয়ারস্টোর হয়ে রইলো। স্বচ্ছন্দ ব্যাটিংয়ে দুই ইনিংশ ব্যাটসম্যান দলকে বিপদমুক্তই করেন নি, চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের কাজটা করে তুলেছেন বেশ কঠিনই। স্টোকস ৮৫ আর বেয়ারস্টো ৪৭ রানে ফিরে গেলেও দিনশেষে ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে উঠে গেছে ২৪৮ রান, ২ উইকেট হাতে রেখে।
তবে কঠিন হলেও অসাধ্য নয় অবশ্যই। বাংলাদেশকে আশাবাদী করতে পারে আট বছর আগের ঠিক এই সময়টায় এই মাঠে তাঁদেরই এক পরাজয়। সেবার চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেয়া ৩১৭ রানের জয়ের লক্ষ্য নিউজিল্যান্ড ছুঁয়ে গিয়েছিল ৩ উইকেট হাতে রেখে।
প্রশ্নটা হয়তো তাই শেষ দু’ দিনের জন্য তুলে রাখাই যায়, বাংলাদেশ কি পারবে নিউজিল্যান্ড হতে?