• ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজ
  • " />

     

    আবারও বিরতির আগেই বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

    আবারও বিরতির আগেই বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ    

    বিরতির আগে উইকেট হারানোর একটা সমাধান খুঁজে বের করতে চাইবেন বাংলাদেশের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।  ইংল্যান্ডের ২৮৫ রান তাড়া করে ইমরুল কায়েস যখন দারুণ স্বচ্ছন্দ, লাঞ্চের ঠিক এক ওভার আগেই ধ্যানভঙ্গ হলো বাংলাদেশ ওপেনারের। সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন উইকেটের পেছনে। এই টেস্টে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে আউট হয়েছেন কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান। এর আগে লাঞ্চ, চা বিরতি কিংবা ম্যাচ শেষের আগে আউট হন ইমরুল, মুমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম।

     

    তার আগে সকালের শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। আগের দিনের সঙ্গে ১২ রান যোগ করে অলআউট হয়ে গেছে ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের খেলা ৯৩ টেস্টে এই নিয়ে মাত্র আটবার অল আউট হয়েছে প্রতিপক্ষ। বাংলাদেশের বোলারদের (পড়ুন স্পিনারদের) এবারের কৃতিত্বটা আরো বড় কারণ দুবার অল আউট হওয়া প্রথম শক্তিশালী প্রতিপক্ষ এই ইংল্যান্ডই। বোলারদের সাফল্যের পর ভালো শুরু করেছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরাও। লাঞ্চের ঠিক আগে সুইপ করতে গিয়ে ইমরুল কায়েস লেগ স্পিনার আদিল রশিদের শিকার না হলে বলা যেত সঠিক পথেই আছে বাংলাদেশ। লাঞ্চের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৮৬।


    বাংলাদেশি বোলারদের হাতে সবচেয়ে বেশিবার ম্যাচে দুবার অল আউট হওয়া দল অনুমিতভাবেই জিম্বাবুয়ে। আটবার অল আউট হয়েছে তারা। অন্য দুবার অল আউট হওয়া দল খর্বশক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শক্তিমান কোন প্রতিপক্ষের ক্ষেত্রে ইংল্যান্ডই প্রথম। আজ খেলা শুরুর পর দ্বিতীয় ওভারেই রান আউট হন আগের দিনের ১০ রানের সঙ্গে আর কোনো রান যোগ না করা স্টুয়ার্ট ব্রড। এরপর একাদশ ব্যাটসম্যান গ্যারেথ ব্যাটি তাইজুল ইসলামের বলে এলবিডব্লু হলে ২৩৯ রানে থেমে যায় ইংলিশদের ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮৬।

    লক্ষ্যটা পাহাড়সম মনে হলেও অসম্ভব নয়। আট বছর আগে এই চট্টগ্রামেই চতুর্থ ইনিংসে ৩১৭ রান তাড়া করে জিতে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ৩৫ রানের ওপেনিং জুটির পর যখন আশা জাগছিল ঠিক পথেই আছে বাংলাদেশ, তখনই মঈন আলীর বলে আউট হয়ে যান তামিম ইকবাল। এর আগের বলেই তাঁর বিরুদ্ধে রিভিউ নিয়েছিল ইংল্যান্ড। গ্যারেথ ব্যাটির বলে একবার ক্যাচ তুলে দিয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন তামিম, ডিপে দৌড়ে এসে তাঁর ক্যাচটা অতিরিক্ত খেলোয়াড় হাসিব হামিদ নিতে না পারলে। এরপর মুমিনুল হক ও ইমরুল কায়েসের ৪৬ রানের জুটি গড়ে এগিয়ে নিচ্ছিলেন বাংলাদেশকে। লাঞ্চের ঠিক আগে যখন মনে হচ্ছিল ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেবেন ইমরুল তখনই আদিল রশিদের শিকার হন তিনি। মুমিনুল ১৯ ও মাহমুদউল্লাহ ৪ রানে অপরাজিত আছেন।