ব্যাটির সঙ্গে জড়িয়ে বাংলাদেশ
মাত্রই মাহমুদউল্লাহকে এলবিডব্লু করেছেন। সাথে সাথে টুইটারে গ্যারেথ ব্যাটিকে অভিনন্দন জানালেন সাবেক সতীর্থ শন উডাল। ৩৭ বছর বয়সে মুম্বাইয়ে চতুর্থ ইনিংসে চার উইকেট নিয়ে ভারতকে হারিয়ে দিয়েছিলেন এই উডাল। পর পর দুই ওভারে মুমিনুল ও মাহমুদউল্লাহকে ফিরিয়ে উডালের কীর্তিটাকেই যেন মনে করিয়ে দিলেন ৩৯ বছর বয়সী ব্যাটি।
ব্যাটির টেস্ট ক্যারিয়ারের সবকিছুতেই জড়িয়ে আছে বাংলাদেশ।ক্যারিয়ারের ৮ টেস্টের চারটি খেলেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে।১১টি টেস্ট উইকেটের ছয়টিই নিয়েছেন এই চার টেস্টে। ২০০৩ সালে ঢাকায় বাংলাদেশের সঙ্গেই অভিষেক তাঁর। সে টেস্টটা ভালো কাটেনি। দুই ইনিংসে পেয়েছিলেন দুই উইকেট।প্রথম উইকেটটি ছিল অলক কাপালির। এরপর ২০০৫ সালে লর্ডস ও চেস্টার লি স্ট্রিটে খেলার সুযোগ পেলেও জোটে মাত্র এক উইকেট।সেই উইকেটটি ছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের। সে টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৪ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ম্যাথু হগার্ড-স্টিভ হার্মিসনরা এমনই আগুনঝরা বোলিং করেছিলেন যে ব্যাটিকে বোলিংয়ে আনার প্রয়োজনই মনে করেননি অধিনায়ক মাইকেল ভন।
এরপরই আসে দীর্ঘ নির্বাসন। ১১ বছর পর ফেরা সেই বাংলাদেশের সঙ্গেই। দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট। যার দুটিই দ্বিতীয় ইনিংসে। সেটা দেখেই উডালের টুইট, যেখানে মজা করে সতীর্থকে সম্বোধন করেছেন “গোল্ডেন ওল্ডি” বলে।
টেস্ট দলে থিতু হতে না পারলেও কাউন্টি ক্রিকেটে রীতিমতো নির্ভরতার নাম ব্যাটি। প্রথম শ্রেণীর ২৩৮টি ম্যাচ খেলে ৬২৫ উইকেট নিয়েছেন। সেরা পারফরম্যান্স ৬৮ রানে ৮ উইকেট।
অভিষেক টেস্টের পর বাংলাদেশের বিপক্ষে এই প্রথম ব্যাট ধরতে হয়েছে ব্যাটিকে। ১৯ রান করেছিলেন অভিষেক ইনিংসে। এরপর ১১ বছর পর ফিরে ব্যাট করতে হলো দুই ইনিংসেই।
বাংলাদেশের ক্রিকেট কতটা বদলেছে তার বোধহয় সবচেয়ে ভালো উদাহরণ এটাই।