যে রেকর্ডে থাকতে চাননি কামরুল
টেস্ট অভিষেকটা ভুলে যাওয়ার মতোই হল তাঁর। দলে ছিলেন দুই পেসারের একজন হিসেবে। কিন্তু দু’ ইনিংস মিলিয়ে বল করলেন সাকুল্যে ১৬ ওভার, ৬৫টি রান দিয়ে নিয়েছেন ১টি উইকেট। উইকেটটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল যথেষ্টই, ছন্দে থাকা জনি বেয়ারস্টোর। তবে কামরুল ইসলাম রাব্বি অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ডের অংশ হয়ে গেলেন ‘ব্যাটসম্যান’ হিসেবে। টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের ৪২তম ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেকের দু’ ইনিংসেই রাব্বি ফিরেছেন শূন্য রানে।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রাব্বিকে ফেরান বেন স্টোকস, রিভার্স সুইংয়ে অফ স্ট্যাপ উড়িয়ে দিয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে সেই রাব্বি নামলেন দুই পজিশন এগিয়ে, নয় নম্বরে। তবে সুবিধে করতে পারলেন না এ দফায়ও। স্টুয়ার্ট ব্রডের ফুল লেন্থ ডেলিভারি তাঁর ব্যাটের ভিতরের কানা ছুঁয়ে প্যাডে লেগে ভেসে যায় শর্ট লেগে। প্রথম ইনিংসে খেলেছিলেন ৪ বল, আজ ১ বল কম খেলে ফিরলেন ওই শূন্য রানেই। এমন পরিস্থিতি থেকে দলকে জেতানোর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন তাইজুল আর ব্যাটিংয়ে তুলনামূলক বেশী অভিজ্ঞ শফিউলকে বসিয়ে কামরুলকে কেন আগে নামানো হল, সে প্রশ্নটা অবশ্য থেকেই গেলো।
টেস্ট অভিষেকের দু’ ইনিংসেই শূন্য রানে ফেরার প্রথম রেকর্ডটা ইংল্যান্ডের ফ্রেড গ্রেসের, ১৮৮০ সালে। রাব্বির আগে এরপর আরও ৪০ জন নাম লিখিয়েছেন এই খাতায়। এ বছরই ভারতের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার আলজারি জোসেপ ছিলেন তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন। রাব্বির আগে এখানে বাংলাদেশের হয়ে ছিলেন একজনই, আলমগীর কবির। ২০০২ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে কলম্বোয় অভিষেক হয়েছিল তাঁর তিন টেস্টের ক্যারিয়ারের। অপ্রত্যাশিত শুরুর পর রাব্বির টেস্ট ক্যারিয়ার কি থমকে যাবে আরও আগেই?